
এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর দেশেই ফেরেনি টাইগাররা। ওই ক্ষত ভুলতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যার প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে জাকের আলীরা। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটির পর নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
শারজা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলেছিলো আফগানিস্তান। ১৫২ রানের লক্ষ্যটা একেবারে সহজ করে দেন দুই টাইগার ওপেনার। ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদ স্থানে রাখেন।
কিন্তু এই জুটির পতনের পর হঠাৎ যেন মড়ক লেগে যায় টাইগার শিবিরে। আসা-যাওয়ার মিছিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন টপঅর্ডাররা। ১০৯/০ থেকে স্কোরকার্ড হয়ে যায় ১১৮/৬! ৯ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ৬ ব্যাটার। টাইগার শিবিরে জেঁকে বসে হারের শঙ্কা। তবে ৩ ওভারে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সোহান ও রিশাদ।
৩৭ বলে ৫১ রান করেন তানজিদ আর সমান সংখ্যক বলে ৫৪ রান করেন ইমন। দুজনের ছক্কার সংখ্যাও সমান- ৩টি করে। তবে ইমন চার মেরেছেন চারটি আর তানজিদ তিনটি। পরে সাইফ (০), জাকের (৬), শামীম (০) ও তানজিম সাকিব (০) দলকে খাদের কিনারায় ঢেলে দিয়ে ফিরে যান।
রশিদ খান ১৩তম ওভারে দুটি এবং ১৫তম ওভারে দুটি করে মোট চারটি উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন। সেই সাথে নুর আহমেদ ও ফরিদ আহমেদও একটি করে উইকেটের দেখা পান।
এর আগে ঝড়ো শুরু আভাস দিয়েও বাংলাদেশের বোলিং তোপে পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারায় গুরবাজরা। দলীয় ২৫ রানের মাথায় নাসুমের বলে ১৫ রানে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। ৩১ রানের মাথায় ১২ বলে ১০ রানে ব্যাটিং করা আতালকে তুলে নেন সাকিব। রাসুলি (০) ও ইসহাকও (১) কিছু করতে পারেননি।
ওমরজাই ও গুরবাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আফগানিস্তান। ৭৩ রানের মাথায় ওমরজাই (১৮) এবং ৯৫ রানের মাথায় গুরবাজকে (৪০) দুলে নেন রিশাদ ও সাকিব। শেষদিকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নবী ও আশরাফ। ২৫ বলে নবীর ৩৮ এবং ১২ বলে আশরাফের ১৭ রানের ক্যামিওতে ভর করে দেড়শ পেরোয় রশিদ খানের দল।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন রিশাদ ও তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন, নাসুম ও মুস্তাফিজ। ৩৭বলে ৫৪ রান করা ইমন ম্যাচসেরা হন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩অক্টোবর২৫/এজে
