দীর্ঘ ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। আসন্ন ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে থাকছে ক্রিকেট ইভেন্ট। অলিম্পিক ক্রিকেটে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেবে। তবে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগে কেবল ৬টি করে দলই অংশ নিতে পারবে।
অলিম্পিকে ক্রিকেট ইভেন্ট নিয়ে আজ (রোববার) দুবাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে এ তথ্য ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অলিম্পিকে ক্রিকেট যুক্ত হওয়াটা ইতিবাচকভাবে দেখছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় গুপ্ত। এর ফলে ক্রিকেটে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তিনি, ‘অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য অনেক বড় পরিবর্তন বয়ে আনবে। এতে সরকারি তহবিল পাওয়ার সুযোগ বাড়বে। তাতে আমরা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও অবকাঠামো বিনিয়োগে অনেক সুবিধা পাব।’
অলিম্পিকের পাশাপাশি অন্যান্য বহুজাতিক এবং একাধিক ইভেন্টের টুর্নামেন্টগুলোতে ক্রিকেট যুক্ত হলে এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বলে মনে করেন সঞ্জয়, ‘এশিয়ান গেমস, প্যান-আমেরিকান গেমস, আফ্রিকান গেমসের মতো ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হলে এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। ফলে আমাদের বিনিয়োগও বাড়বে।’
তবে অলিম্পিক ক্রিকেটে ৬ দল হওয়ায় বাংলাদেশের সুযোগ অনেক কম। মোট ৬ দলের ৫টি আসবে পাঁচটি মহাদেশীয় অঞ্চল থেকে। এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও ওশেনিয়া মহাদেশের শীর্ষ ৫টি দেশ সরাসরি অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান আইসিসি র্যাঙ্কিং অনুযায়ী পুরুষ দলের মধ্যে আমেরিকা মহাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র (আয়োজক), এশিয়া থেকে ভারত, ওশেনিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ থেকে ইংল্যান্ড এবং আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাকি এক দল নির্ধারিত হবে বাছাইপর্বের মাধ্যমে। যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের মতো দলগুলো খেলতে পারে। বাছাইপর্বের সেরা দল মূল পর্বে খেলার টিকিট পাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯নভেম্বর২৫/বিটি