
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শুবমান গিল এক অদ্ভুত দুর্ভাগ্যের শিকার। অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচ থেকেই টসে হারের ধারা চলছে। আজ আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একই চিত্র দেখা গেল। সিরিজ শুরুর টেস্টে টস হেরে গেলেন গিল। ফলে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ছয় টেস্টেই টসে হার দিয়ে শুরু করতে হলো তাঁকে।
ক্রিকেট ইতিহাসে এমন নজির খুব কমই আছে। ক্রিকবাজের পরিসংখ্যান বলছে, অধিনায়কত্বের শুরুতে টস হারের দিক থেকে এখন শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বেভান কনডন। ১৯৭২ সালে অধিনায়কত্বের প্রথম সাত টেস্টেই টসে হেরেছিলেন তিনি। গিল যদি ১০ অক্টোবর দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও টসে হেরে যান, তাহলে ছুঁয়ে ফেলবেন সেই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড।
গিলের সঙ্গে আরও কয়েকজন বড় তারকার নাম জড়িয়ে আছে এই তালিকায়। নিউজিল্যান্ডের টম ল্যাথামও অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ছয় টেস্টেই টসে হেরেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটে এর আগে বিরাট কোহলি ও কপিল দেবও টসে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন। কোহলি ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্টের সিরিজে প্রতিটি ম্যাচেই টসে হেরেছিলেন। কপিল দেব একইভাবে ১৯৮৩ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টানা পাঁচ টেস্টে টসে হারের অভিজ্ঞতা পান।
শুধু ভারত বা নিউজিল্যান্ড নয়, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অধিনায়ক নাসের হুসেইনও টস নিয়ে খারাপ সময় পার করেছিলেন। তাঁর অধিনায়কত্বে টানা ১০ টেস্টে টসে হারে ইংল্যান্ড। ওয়ানডেতে এই রেকর্ড আরও দীর্ঘ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা টানা ১২ ম্যাচে টসে হেরেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে।
তবে আজকের আহমেদাবাদ টেস্টে ভারতের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবরও আছে। টসে হেরে বোলিংয়ে নামতে হলেও বোলাররা শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। প্রথম সেশন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩.২ ওভারে মাত্র ৯০ রানে ৫ উইকেট হারায়। মোহাম্মদ সিরাজ দুর্দান্ত বোলিং করে ৩ উইকেট নেন। যশপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদব নেন একটি করে উইকেট।
এখনো অবশ্য অনেকটা পথ বাকি। তবে গিলের দুর্ভাগ্য যদি টস থেকে শুরু হয়েও মাঠে জয় দিয়ে শেষ হয়, তাহলে সেটিই হবে তাঁর জন্য আসল প্রাপ্তি। আপাতত তাকিয়ে থাকতে হবে দিল্লি টেস্টের দিকে, যেখানে অপেক্ষা করছে কনডনের সেই অপ্রত্যাশিত রেকর্ড ছোঁয়ার শঙ্কা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২অক্টোবর২৫/টিএ
