
চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রবিবার (৪ মে) লিটন কুমার দাসকে অধিনায়ক করে আসন্ন এই দুই সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরছেন সদ্য সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোটের কারণে ছিলেন না তিনি। ফলে টি-টোয়েন্টিতেও খেলা হয়নি তার। তবে সে সিরিজে অলরাউন্ডার মিরাজ। তবে আসন্ন দুই সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এই তারকার।
সবশেষ ভারত সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছিলেন শান্ত। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। এরপর খেলা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাছাড়া বিপিএলেও তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না। যেহেতু শান্ত এখন অধিনায়ক নন, তবুও কোনো পারফর্ম ছাড়া টি-টোয়েন্টি দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন:
» ইডেন গার্ডেন্সে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় কলকাতার কষ্টার্জিত জয়
» অধিনায়ক লিটনকে শুভকামনা জানিয়ে যে বার্তা দিলেন শান্ত
এ বিষয়ে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘শান্ত আমাদের অধিনায়ক ছিলেন। আপনি দলটার দিকে তাকালে দেখবেন অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরে সৌম্য আছেন, লিটন দাস আছেন। তারা বেশ অভিজ্ঞ, ৯০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন। এরপর তাকালে দেখবেন বিস্তর ফারাক হয়েছে। শান্তর ৫০ হয়নি এখনো, তবে ৪০-এর কাছাকাছি হয়েছে। তাই দলে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাখতে হবে।’
মিরাজ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত নন। তবে সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছেন তিনি। সেখানে পারফর্ম করেছেন ব্যাটে-বলে। তাছাড়া সবশেষ বিপিএলেও অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন। তবুও দলে জায়গা হারিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
মিরাজের বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় লিপু বলেন, ‘মিরাজ জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে আপনারা দেখবেন যে মিরাজকে একটু পিছিয়ে রেখেছিলাম। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদি মিরাজের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন।’
চলতি মাসে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে আরব আমিরাতের সঙ্গে ২টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ১৭ ও ১৯ মে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি। এরপর পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে টাইগাররা। সূচি অনুযায়ী, ফয়সালাবাদে ২৫ ও ২৭ মে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর বাকি তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মে, ১ জুন এবং ৩ জুন। লাহোরের ঐতিহ্যবাহী গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ স্কোয়াড-
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, তানভীরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪মে২৫/বিটি
