আইএল টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনদের শারজাহ ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল সাকিবদের এমআই এমিরেটস। রোমারিও শেফার্ডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ১১ রান ডিফেন্ড করে ৪ রানের জয় তুলে নিয়েছে এমআই এমিরেটস।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে এমআই এমিরেটস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বেশি তুলতে পারেনি শারজাহ ওয়ারিয়র্স।
অবশ্য এদিন শারজাহর একাদশে জায়গা হয়নি তাসকিনের। তবে সাবস্টিটিউট হিসেবে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে ইম্পাক্ট বোলার হিসেবে নামায়নি শারজাহ। শারজাহর প্রথম ম্যাচেও একাদশে ছিলেন না তিনি। অন্যদিকে আজকের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে সাকিবের। যদিও অভিষেকটা ব্যাটে বলে রাঙাতে পারেননি এই টাইগার অলরাউন্ডার।
দলীয় ৮৪ রানে এমআই এর তৃতীয় উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে আসেন সাকিব। তবে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য আউট হওয়ার আগেই তাকে তুলে নেয় এমআই। রিটায়ার্ড আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ২ চারের মারে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি এই তারকা। ২ ওভার বোলিং করে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এই বাঁহাতি।
এদিন রানতাড়ায় নেমে পাওয়ারপ্লেতেই ৩টি উইকেট হারায় শারজাহ। ৪৮ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর সিকান্দার রাজা ও টম কোহলার-ক্যাডমোরের দুর্দান্ত এক জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় শারজাহ। এই জুটিতে দলীয় দেড়শ রান পেরোয় দলটি। রাজাও তুলে নেন ঝোড়ো ফিফটি।
তবে ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় ১৫১ রানের মাথায় আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের জোড়া আঘাতে পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ খেলতে থাকা সিকান্দার রাজাকে ফেরান তিনি। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। পরের বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে বোল্ড করেন গজনফর।
টানা দুই উইকেট হারানোর পর শারজাহর রান তোলার গতি কমে যায়। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। এরপর জহুর খান বোলিংয়ে এসে ১০ রান দিয়ে কোহলার-ক্যাডমোরের (৫১) উইকেট তুলে নেন। সেট ব্যাটারকে হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে শারজাহ। শেষ ৬ বলে কেবল ৬ রান নিতে সক্ষম হয় তারা। তাতে জয় নিশ্চিত হয় এমআই এমিরেটসের।
ক্রিফোস্পোর্টস/৭ডিসেম্বর২৫/বিটি