নিষেধাজ্ঞা, পরীক্ষা, পুনর্বাসন সব মিলিয়ে গত এক বছর সাকিব আল হাসানের জন্য বেশ অসস্তির মধ্যে ছিল। তবে বাঁহাতি অলরাউন্ডার জানালেন, যে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এত আলোচনা–সমালোচনা, তার পেছনে নাকি ছিল কিছুটা ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্তও ছিল। এর কারণটাও তিনি খোলাসা করেছেন ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ এর সাক্ষাৎকারে।
রোববার ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে সাকিব বলেন, সারের হয়ে গত নভেম্বরের সেই কাউন্টি ম্যাচে তিনি এতটাই ক্লান্ত ছিলেন যে শরীর আর স্বাভাবিক অ্যাকশন ধরে রাখতে পারেনি। টন্টনে সমারসেটের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচে মোট ৭০ ওভারের বেশি বল করেছিলেন তিনি যা তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারেও কোনোদিন করতে হয়নি।
সাকিবের মতে, ক্লান্তির কারণেই অ্যাকশন কিছুটা বদলে যায়। তিনি বলেন, “আমি ৭০ ওভার বল করেছিলাম। জীবনে কখনো করিনি। পাকিস্তানে টানা দুই টেস্ট খেলে এসেছি। যেজন্য অতিরিক্ত বোলিং করতে গিয়ে কিছুটা এলেমেলো হিয়েছে।তবে মাথায় ছিল আম্পায়ার হয়তো প্রথমবার সতর্ক করবে। কিন্তু সে নিয়মের মধ্যে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেজন্য আমার অভিযোগ ছিল না।”
এরপর লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। ইসিবি ঘোষণা দেয়, সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সাকিব আর বল করতে পারবেন না। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কার্যকর হয়।
টেস্টে ফেল করার অভিজ্ঞতা নিয়েও সরাসরি বললেন সাকিব। তিনি বলেন, “পরীক্ষা দিতে গিয়ে অকৃতকার্য হলাম। পরে নিজেই ভিডিও দেখে বললাম, আচ্ছা এটাই সমস্যা! এরপর দু–এক সপ্তাহ অনুশীলন করলাম। সারেও অনেক সাহায্য করেছে। দুটো সেশনেই আবার স্বাভাবিক হলাম। তখন মনে হলো এটা এত সহজ!”
সারের হয়ে সেই এক ম্যাচে তিনি দুই ইনিংসে বল করেছিলেন ৩৩.৫ এবং ২৯.৩ ওভার। এরপর তৃতীয়বার মূল্যায়নে সফল হয়ে আবার বোলিংয়ের ছাড়পত্র পান তিনি। তবে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বিসিবি নির্বাচকেরা তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখেননি। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটার হিসেবেই তাঁকে ব্যবহার করা হবে।
সব মিলিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা অনেকটাই অতীত। তবে এই যাত্রাটা কতটা ক্লান্তিকর ছিল, সেটাই এবার সামনে আনলেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ডিসেম্বর২৫/টিএ