এমআই এমিরেটস এর হয়ে শুরুর দুটো ম্যাচে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেননি সাকিব। ব্যাট-বল কোনোটাতেই অবদান রাখতে না পারায় প্রশ্ন উঠেছিল আইএল টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসানের ভূমিকা নিয়ে। তবে রোববার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই পরীক্ষায় উতরে গেলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে বলে অবদান রেখে এমআই এমিরেটসকে জিতিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতে নেন। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪৫ তম।
ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে এমআই এমিরেটসের জয়ে ব্যাটে-বলে মূল ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন সাকিব। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪৫ তমবার ম্যাচের সেরা হওয়ার স্বীকৃতি পেলেন তিনি। যা টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ সেরা পুরস্কারের তালিকায় যৌথভাবে তৃতীয়।
এদিন ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শেষ বলেই প্রথম সাফল্য পান সাকিব। স্টাম্পড হন পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামান। পরের ওভারেই ফেরান ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারানকে। নিজের বলে ক্যাচ নেন সাকিব নিজেই। এরপর নিজের বাকি দুই ওভারেও উইকেট না নিতে পারলেও ছিলেন যথেষ্ট সাশ্রয়ী। ১১তম ও ১৫তম ওভারে দেন মোটে ৬ রান।
সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের চাপে ভাইপার্স ৭ উইকেটে থামে ১২৪ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে কিছুটা চাপে পড়ে এমআই এমিরেটস। ৬ উইকেট হারালেও শেষ দিকে দায়িত্ব নেন সাকিব। ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৭ রান করে ১৫ বল হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে সাকিব বলেন, পিচ স্পিনারদের সহায়ক ছিল এবং ব্যাটিং সহজ ছিল না। দলের ব্যাটিং শক্তির ওপর ভরসা রেখেই তিনি সতর্ক ছিলেন বলে জানান। তার ভাষায়, দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সেই তিনি সন্তুষ্ট।
এই পারফরম্যান্সেই ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে সাকিবের হাতে। তাতে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার তালিকায় নতুন এক মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। ৪৫ বার ম্যাচসেরা হয়ে আন্দ্রে রাসেলকে ছাড়িয়ে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন সাকিব। এই অবস্থানে তার সঙ্গী অ্যালেক্স হেলস ও রশিদ খান।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হেলস ও রশিদ যথাক্রমে ৫২৪ ও ৫০৪ ম্যাচ খেলে ৪৫টি ম্যাচসেরা পেয়েছেন। সেখানে সাকিবের ম্যাচ সংখ্যা ৪৬৫। তালিকার ওপরে আছেন কেবল তিনজন। ৪৮ বার করে ম্যাচসেরা হয়ে দ্বিতীয় স্থানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কিয়েরন পোলার্ড, আর শীর্ষে আছেন ৬০ ম্যাচসেরার রেকর্ড নিয়ে ক্রিস গেইল।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২ডিসেম্বর২৫/টিএ
