
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের ওয়ানডে ম্যাচে আলোচনার বিষয় ছিল অনেক-রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং, স্লো-লো উইকেটে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের কষ্ট, এমনকি মাঠে দর্শকের ঢুকে পড়া ঘটনাও। কিন্তু দিন শেষে সবচেয়ে বড় খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে রিশাদ হোসেনের ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্স।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেমন নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছিলেন, এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও সেই ধারাই ধরে রাখলেন রিশাদ। ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৬ উইকেট। তার ঘূর্ণিতে একে একে উইকেট পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে। ২২তম ওভারের পর থেকে যেন ম্যাচের রাশ পুরোপুরি চলে যায় বাংলাদেশের হাতে।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে হারের কারণ জানতে চাইলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ কোনো অজুহাত দেখাননি। বরং সোজাসাপ্টা বললেন উইকেটটা সহজ ছিল না, কিন্তু সেটাই হারের কারণ নয়। তার ভাষায়, “হ্যাঁ, উইকেট ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল। সহজে শট খেলা যাচ্ছিল না। তবে বাংলাদেশি স্পিনাররা দারুণ বোলিং করেছে, বল ঠিক জায়গায় ফেলেছে বারবার। তারা সাফল্য পাওয়ার যোগ্য।”
শাই হোপ আরও বলেন, এই ধরনের উইকেটে সফল হতে হলে দ্রুত মানিয়ে নিতে হয়। সেটাই পরের ম্যাচের মূল লক্ষ্য তাদের। “সামনের ম্যাচে আমরা উইকেট বুঝে খেলতে চাই। নিজেদের খেলার ধরণ মানিয়ে নিতে পারলে সিরিজে ফেরাটা সম্ভব।”
বাংলাদেশের জয়ের পেছনে রিশাদের ভূমিকা নিয়ে চলছে আলোচনা। তরুণ এই লেগস্পিনারকে অনেকেই দেশের স্পিন আক্রমণের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছেন। এ ম্যাচের আগে তার সেরা বোলিং ছিল ২ উইকেটের, এবার সেটি দ্বিগুণেরও বেশি।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে বরাবরই বিতর্ক থাকে-ব্যাটিং না বোলিং সহায়ক? কিন্তু শনিবারের ম্যাচে রিশাদ প্রমাণ করেছেন, সুযোগটা কাজে লাগাতে জানলে যেকোনো উইকেটেই জয় সম্ভব। আর সেটাই মানছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়কও।
বাংলাদেশের স্পিন ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন সিরিজে টিকে থাকতে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলও চাইবে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৯অক্টোবর২৫/টিএ
