
হারারেতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়, পরে সামিউন বাসীরের অসাধারণ ব্যাটিং- সব মিলিয়ে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুবারা।
জিম্বাবুয়ের হারারেতে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের।
মাত্র ৫৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যুবারা। সেই সময় ক্রিজে আসেন সামিউন বাসীর। কিন্তু দলের বিপর্যয় থামাতে পারেননি অন্য কেউ। ৫৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারালে আরও কঠিন হয়ে পড়ে পরিস্থিতি।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ফেরার পর আল ফাহাদকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৩১ রান যোগ করেন সামিউন। এরপর আবার উইকেট পতনের মিছিল। ফাহাদ ও দেবাশিস বিদায় নিলে ৯০ ও ৯৭ রানে দাঁড়ায় স্কোর। ১০৯ রানে নবম উইকেট ইকবাল হোসেন আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের হার অনিবার্য মনে হচ্ছিল।
কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেন সামিউন বাসীর। শেষ ব্যাটসম্যান স্বাধীন ইসলামকে একটিও বল খেলার সুযোগ না দিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
২৮তম ওভারে পল জেমসকে দুটি চার মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন ১১ রানে। পরের ওভারে দয়ালান বয়েসকে পরপর চার ও ছক্কায় স্কোর সমান করেন। আর কাভারের দিকে ঠেলেই ১ রান নিয়ে দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।
৩৯ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংসে আসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এটি সামিউনের যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
আরও পড়ুন:
»ইয়ামালকে মেসির সাথে তুলনা, প্রতিক্রিয়া জানালেন গার্দিওলা
এর আগে বাংলাদেশি বোলাররাই ম্যাচে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩৪.৪ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে দেন তারা।
পেসার আল ফাহাদ ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। সামিউনও বোলিংয়ে অবদান রাখেন ২ উইকেট শিকার করে।
ত্রিদেশীয় এই সিরিজে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে তিনবার করে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুটি দল খেলবে ফাইনাল।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯জুলাই২৫/এসএ/এনজি
