সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ দিকে কিছু ভুল না হলে হোয়াইটওয়াশ করতে পারত মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সবমিলিয়ে নিজেদের পারফর্মেন্সে হতাশ সফরকারী উইন্ডিজদের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ক্যারিবিয়ানদের ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ। সাইফ হাসান-সৌম্য সরকারের অসাধারণ রেকর্ড জুটিতে ভালো শুরু পেলেও অবশ্য তিনশ পেরোতে পারেনি টাইগাররা। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ইনিংস থেমেছে ২৯৫ রানে। বিপরীতে ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচ শেষে হতাশা ঝেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি বলেন, ‘(ইতিবাচক দিক) হয়ত শাই হোপের ব্যাটিং। সে যেভাবে দলকে বয়ে নিয়ে গেছে, অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। সে একজন লিডারও। দলকে টেনে নিয়ে গেছে প্রতিবারই। আমি খুবই হতাশ আমাদের বোলিং নিয়ে।’
কন্ডিশন অনুযায়ী ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করতে না পারার কারণও জানান তিনি, ‘স্পিনারদের আরও ধারালো হতে হবে। কারণ এখানেই প্ল্যানটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবেন, এখানেই তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো কন্ডিশন ছিল। ৩ ম্যাচে যেমন করেছি তা খুবই বাজে ছিল। একদমই ধারাবাহিক ছিলাম না।’
বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়ে স্যামি বলেছেন, ‘তিন ম্যাচেই আমরা বাংলাদেশকে পার স্কোরের চেয়ে বেশি রান করতে দিয়েছি। আমি ভেবেছি ওভারপ্রতি ৩.৫ রানের উইকেট এটি। তবে বাংলাদেশ ওভার প্রতি ৪ রানের বেশি নিয়েছে।’
টাইগারদের অভিনন্দন জানিয়ে স্যামি আরও বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে কেসি কার্টি, শাই হোপরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছে। অনেক হতাশ আমি। বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে। তাদেরকে অভিনন্দন। কন্ডিশন অনুযায়ী তাদের কাছাকাছি যেতে পারিনি আমরা ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিংয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘(বাংলাদেশের) ব্যাটাররা পাওয়ারপ্লেতে সাহসী ব্যাটিং করেছে, যে কারণে আমরা চাপে পড়ে গেছি। পরে সেই জবাব দিতে আমাদের অনেক সময় লেগে গেছে। এর ফলে চরমভাবে মূল্য দিতে হয়েছে। ৩ বিভাগেই খারাপ করেছি আমরা। মনে হয় ৬টা ক্যাচ ফেলেছি এক ম্যাচেই। সৌম্যর ইনিংসে ক্যাচ ফেলেছি। আজকে সব বিভাগেই অনেক বাজে ছিলাম আমরা।’
উল্লেখ্য, আজ বড় পূজি পাওয়ার পথে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১৭৬ রান। সাইফের ব্যাটে মেলে ৮০ ও সৌম্য করেছেন ৯১ রান। এরপর বাকি ক্রিকেটাররা দলের রান তিনশ অতিক্রম করতে না পারলেও কাছাকাছি নিয়ে যান। আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যেখানে পরবর্তী দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ও ৩১ অক্টোবর।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪অক্টোবর২৫/এফএএস