
আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাইয়ের পর অবশেষে মিরপুরে এসে ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। মিরপুরের বোলিং সহায়হক পিচে ২০৭ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও ৭৪ রানের বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। ম্যাচটি স্পিনারদের কল্যাণেই জিতেছে স্বাগতিকরা। একাই ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক রিশাদ হোসেন।
উইন্ডিজকে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে রেকর্ডগড়া বোলিং করেন রিশাদ। ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচ করে ৬ উইকেট নেন এই লেগি। ম্যাচশেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তার হাতেই। একইসঙ্গে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন এই স্পিনার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিশাদ। ছবি- বিসিবি
বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন রিশাদ। বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে ওয়ানডেতে এতদিন সেরা বোলিং ছিল তাইজুল ইসলামের দখলে। ২০২২ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তাদের মাঠে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। এবার তাকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এলেন রিশাদ। সবমিলিয়ে চতুর্থ বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিলেন রিশাদ।
বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডেতে এতদিন স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এক বিদেশির দখলে ছিল। নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি ২০২৩ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এবার এই মিরপুরেই সোধিকে ছাপিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডে শীর্ষস্থান দখলে নিলেন রিশাদ।

উইকেট শিকারের পর সতীর্থের সঙ্গে উদযাপন রিশাদের। ছবি- এএফপি
এছাড়া ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয়সেরা বোলিং এটি। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ৬ উইকেট নেন মাশরাফি। তার সঙ্গে রেকর্ডটি ভাগাভাগি করছেন আরেক পেসার রুবেল হোসেন। ২০১৩ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫.৫ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার।
তালিকায় রিশাদের পর চারে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন কাটার মাস্টার। এছাড়া পাঁচে আছেন তাসকিন আহমেদ। ২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন এই পেসার।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮অক্টোবর২৫/বিটি
