
মিরপুরের কালো মাটির পিচকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে রেকর্ডগড়া জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়ে দেন তারা। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় তিনশ রান ছুঁতে পারেনি স্বাগতিকরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৭৬ রান তুলে নেন সাইফ ও সৌম্য। তবে পরবর্তীতে অন্যান্য ব্যাটাররা আশানুরূপ রান তুলতে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে লাল-সবুজের দল।
আজ বাংলাদেশের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। অন্যন্য দিন ব্যাটিংয়ে নেমেই সংগ্রাম করেন ওপেনাররা। তবে আজ সৌম্য ও সাইফ মিলে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। তাদের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১৬ ওভারের মধ্যেই কোনো উইকেট না হারিয়ে শতরানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এরপরেই জুটিতেই দেড়শ পেরোয় টাইগাররা।
দলের ১৭৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রোস্টন চেজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে ৭২ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কার মারে ক্যারিয়ারসেরা ৮০ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। কিছুক্ষণ পরেই সাইফের দেখানো পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। সেঞ্চুরি মিস করেন তিনিও। নার্ভাস নাইনটিজে গিয়ে আকিল হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৬ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৯১ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরেই ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। প্রথম ২৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৭৬ রান তোলার পর, শেষের ২৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কেবল ১২২ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা। ফলে তিনশ রানও ছুঁতে পারেনি স্বাগতিকরা।
দুই ওপেনার ফেরা পর কিছুটা ধীরগতিতে খেলেন তাওহীদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরেই কমতে থাকে রানরেট। তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৫০ রান যোগ করেন তারা। দলের ২৩১ রানে বিদায় নেন হৃদয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ২৮ রান। এরপর বিদায় শান্ত। তিনি ৫৫ বলে ৪৪ রান করেন।
এরপর মাহিদুল, রিশাদ ও নাসুম এসে ইনিংসে থিতু হতে পারেননি। শেষদিকে মিরাজের ১৭ ও নুরুলের ১৬ রানের ক্যামিওতে ভর করে তিনশ’র কাছাকাছি রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন আকিল হোসেন। এছাড়া অ্যালিক অ্যাথানাজি ২টি এবং চেস ও মতি একটি করে উইকেট নেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩অক্টোবর২৫/বিটি
