শেষ রাউন্ডে নিজেদের কাজটা আগেই করে রেখেছিল রংপুর। খুলনাকে হারিয়ে শিরোপার দরজা খুলে গেলেও তাঁদের ভাগ্য নির্ভর করছিল সিলেট–বরিশাল ম্যাচের ওপর। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচ ড্র হওয়ায় সপ্তমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা ঘরে তুললো দেশের উত্তরের এই দলটি। ২০২২ সালের পর আবারও এনসিএলের সেরা দল হিসেবে নিজেদের জাত চেনালো রংপুর।
ষষ্ঠ রাউন্ডে চট্টগ্রামের কাছে হারের পর রংপুরের শিরোপার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। শিরোপায় টিকে থাকতে শেষ ম্যাচে খুলনাকে হারানো বাধ্যতামূলক ছিল তাদের জন্য। খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে শুরুটা খারাপ হলেও পরে দারুণভাবে ফিরে এসে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আকবর আলীর দল। রংপুরের জয়ে চাপ পড়ে সিলেটের ওপর।
বরিশালের বিপক্ষে সিলেটের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ। কেননা জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু রাজশাহীর মাটিতে ড্র করে সিলেটকে শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ৩২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৭ রানেই থেমে যায় জাকির হাসানরা। আসাদুল্লাহ আল গালিব ৬১, মুশফিকুর রহিম ৫৩ রান করেন।
এদিকে প্রথম ইনিংসে বরিশাল ৩১২ রানের বিপরীতে সিলেট করেন ২৮৭ রান। পরে ইফতেখার হোসেন ইফতির সেঞ্চুরিতে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংস ২৯৪ রানে ৮ উইকেটে ঘোষণা করে। ইফতি অপরাজিত ছিলেন ১২৮ রানে। বরিশালের বিপক্ষে ড্রয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে সব মিলিয়ে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮ পয়েন্টে। যেখানে রংপুর পয়েন্ট টেবিলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে।
এদিকে শেষ রাউন্ডে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে ছিল নতুন দল ময়মনসিংহও। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শুরু করলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীর কাছে তারা হেরে যায় ১৪৬ রানে। ৪২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ময়মনসিংহের ইনিংস থামে ২৮১ রানে। আবু হায়দার রনির ১৪১ রানের অনবদ্য ইনিংসও দলকে হার থেকে বাঁচাতে পারেনি। বল হাতে আবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সানজামুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৮৮ রানের খরচায় নেন ৫ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন রংপুর।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯ডিসেম্বর২৫/টিএ