হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না নোয়াখালী এক্সপ্রেস। টানা তিন ম্যাচে হার দেখল সুজনের নেতৃত্বাধীন বিপিএলের নতুন দল। অন্যদিকে ঢাকার বিপক্ষে হেরে যাওয়া রাজশাহী ঘুরে দাড়িয়েছে এই ম্যাচে। নোয়াখালীর দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম, শান্ত ও মুশফিকের কল্যাণে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।
নোয়াখালীর দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। প্রথম ওভারেই ওপেনার শাহেবজাদা ফারহানকে হারায় তারা। এরপরে অধিনায়ক শান্ত ও তামিম ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু তামিম ২৯ এবং শান্ত ২৪ করে আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে রাজশাহী। ৬ রানের ব্যবধানেই তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে নোয়াখালী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলী রাব্বির ৫২ রানের পার্টনারশিপে ১১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে সহজেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।
নোয়াখালীর হয়ে এদিন সফল বোলার ছিলেন হাসান মাহমুদ। দুটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া রেজাউর রহমান রাজা ও জাহির খান একটি করে উইকেট পান।
এর আগে শুরুতেই টসে জিতে প্রথমে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি তারা। পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ওপেনার সোহান ৬ বলে ৫ করে আউট হওয়ার পর তিন নাম্বারে নেমে সাব্বির হোসেন ১১ বলে ৬ রান করে আউট হন। ওপেনার মাজ সাদাকাত কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তিনিও ১৯ বলে ২৫ করে আউট হয়ে যান। এরপর মাহিদুল ইসলাম অংকন এবং অধিনায়ক হায়দার আলী কিছুটা পার্টনারশিপ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করতে সক্ষম হয় তারা।
রাজশাহীর হয়ে এদিন সফল বোলার ছিলেন আগের দুই ম্যাচে একাদশে না থাকা রিপন মন্ডল। ৪ ওভারে একটা মেইডেন সহ তিনি নেন ৪ উইকেট। এছাড়া তানজিম সাকিব ২ টি, বিনুরা ফার্নান্দো ১ টি এবং হুসাইন তালাত একটি করে উইকেট পান।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে রাজশাহী। অন্যদিকে টানা তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে সুজনের নেতৃত্বাধীন নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯ডিসেম্বর২৫/টিএ
