দোয়াহর অ্যাসপায়ার জোনে সোমবার রাতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে পর্তুগাল। ব্রাজিল–পর্তুগাল ম্যাচটি ৯০ মিনিটে কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইবেকারে। আর টাইব্রেকারে ৬–৫ ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে প্রথমবারের মত ফাইনালে ওঠা অস্ট্রিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুদল আক্রমণাত্নক ভঙ্গিতে খেলে গেছে। প্রথমার্ধে পর্তুগাল ছয়টি আর ব্রাজিল আটটি শট নেয়। গোলরক্ষকদের দারুণ সেভ আর ডিফেন্ডারদের দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় কোনোদিকেই গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একি চিত্র দেখা গেছে। সুযোগ পেলেও কেউ কাজে লাগাতে পারেনি। সেজন্য পুরো ৯০ মিনিট খেলা শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময় নেই। তাই ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। প্রথম পাঁচ শটে দুই দলই গোল করে। এর পরই খেলায় নাটকীয় মোড় নেয়। পর্তুগালের গোলরক্ষক রোমারিও কুনিয়া নিজের শট মিস করেন। কিন্তু পরের মুহূর্তেই ব্রাজিলের রুয়ান পাবলোর শট ফিরিয়ে সমতায় ফেরান তিনি। ম্যাচের গতিপথ সেই মুহূর্তেই বদলে যায়। শেষের দিকে পর্তুগাল গোল ধরে রাখে। অন্যদিকে ব্রাজিলের শেষ কিকটি আকাশে তুলে দিলে শুরু হয় পর্তুগিজদের উদযাপন।
এদিকে দিনের আগের সেমিফাইনালে সোমবার (২৪ নভেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহার অ্যাসপায়ার একাডেমিতে সেমিফাইনালে কোচ হারমান স্ট্যাডলারের দল ইতালিকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। ম্যাচের বিজয়ী হলেন ক্যারিন্থিয়ার ১৭ বছর বয়সী জোহানেস মোসার, যিনি টুর্নামেন্টে তার সপ্তম (৫৭তম মিনিট) এবং অষ্টম (৯৩তম মিনিট) গোল করে বিশ্বকাপ স্কোরিং চার্টে এককভাবে লিড দখল করে নেন।
অস্ট্রিয়ার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন, কারণ তারা এর আগে কখনও কোনও বয়সভিত্তিক গ্রুপে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছায়নি।
এখন আগামী বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর, (বিকাল ৫:০০ টায়) খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইতিহাসের প্রথম ফাইনাল খেলবে পর্তুগাল ও অস্ট্রিয়া। অন্যদিকে, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে একই দিনে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও ইতালি।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫নভেম্বর২৫/টিএ