
আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামনে এখন দুটি চ্যালেঞ্জ। সিরিজে সমতা আনা এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসরে সরাসরি টিকে থাকা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল টি-টোয়েন্টির মত ওয়ানডেতেও হোয়াইটওয়াশ করা। এতে করে ৫ রেটিং পয়েন্ট বাড়ত এবং র্যাঙ্কিংয়ে ১০ থেকে ৯-এ উঠত। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে হেরে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। এখন বিশ্বকাপের সরাসরি জায়গা করে নেওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জন্য।
গতকাল দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাস সম্মেলনে আসা পেসার তানজিম হাসান সাকিব জানান , আজকের ম্যাচই তাঁদের কাছে সবকিছু। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো আর কোনো অপশন নাই। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক বড়। প্রথম ম্যাচের ভুল নিয়ে আলোচনা করছি কীভাবে সমাধান করা যায়। সবার একটাই লক্ষ্য এখন-‘জয়’। এই ম্যাচ হেরে গেলে সিরিজই হাতছাড়া হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে বরাবরই ভালো দল। সেজন্য র্যাংকিং-এ দশ নম্বরে থাকা আমাদের জন্য শুভ নয়। এখন জেতা ছাড়া কোনো অপশন নেই। আসলে বাছাইপর্বে খেলাটা মানায় না আমাদের।’
বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত ডট বল খেলা। ২০২৪ সালে ওয়ানডে সিরিজগুলোতে তিন ম্যাচে প্রায় ৫১ শতাংশ বলই ছিল ডট। এবারের চিত্রও একই। প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ ডটবল ছিল। আফগানদের বিভিন্ন ধাঁচের স্পিনারদের বিপক্ষে লড়াইটা বাংলাদেশের জন্য নতুন না।
এ বিষয়ে তানজিম সাকিব বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন স্ট্রাইক রোটেশনে কাজ করা। প্রতি ম্যাচেই অতিরিক্ত ডট বল খেলা হচ্ছে যা স্কোরবোর্ডে রানের গতিকে আটকে দিচ্ছে। ওয়ানডেতে ৫০ ওভারের ম্যাচে যত বেশি রানিং বিটুইন দ্য উইকেট হবে ততই দলীয় স্কোর বাড়বে। স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান না থাকলে ফাইট করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা এখন আলোচনা করছি কীভাবে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যায় এবং উইকেট থেকে আরও বেশি রান তোলা যায়।’
আফগান লেগ স্পিনের বিপক্ষে খেলতে বাংলাদেশের হিমশিম খাওয়া নিয়ে তানজিম বলেন, ‘সারা বিশ্বেই লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে সবাই সমস্যায় পড়ে। এখানে একটু বাড়তি মনোযোগ দরকার।কারণ ওরা ব্রেক থ্রু আনে। আমাদের শিখতে হবে কীভাবে ওদের বল মানিয়ে নিয়ে খেলা যায়।’
বোলারদের উইকেট টু উইকেট বল করা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এই উইকেটে স্কোর করা সহজ না, কিন্তু অসম্ভবও না। উইকেট একটু স্লো, মাঝে মধ্যে বাড়তি বাউন্সও করে। আমি মনে করি আমরা পেসাররা অনেক বাইরে বাইরে বল করেছি, প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে চাইলে আমাদের স্ট্যাম্পে আরও বেশি বল করতে হবে। সে পরিকল্পনা নিয়েই মূলত আমরা আগাচ্ছি।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১অক্টোবর২৫/টিএ
