
ক্লাব বিশ্বকাপের একমাত্র অপেশাদার দল হিসেবে এবারের আসরে খেলতে গেছে অকল্যান্ড সিটি এফসি। যে দলের প্রায় সকল খেলোয়াড়ই শখের বশে খেলে থাকেন ফুটবল। জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের রয়েছে নিজস্ব ভিন্ন ভিন্ন পেশা। এমনকি দল থেকে বিনা পারিশ্রমিকেই খেলতে গেছেন ক্লাব বিশ্বকাপে।
তবে বিশ্বমঞ্চে বেশ ভালোভাবে নিজেদের সামর্থ্যের টের পেল অকল্যান্ড। শক্তিশালী দল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১০ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়ে গেল তারা। এদিন বায়ার্নের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন জামাল মুসিয়ালা। আর জোড়া গোল পেয়েছেন কিংসলে কোমান, মিচেল ওলিস ও থমাস মুলার। আরেক গোল করেছেন সাচা বয়ে।
এদিন ম্যাচের প্রায় ৭২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল বায়ার্ন। প্রতিপক্ষের জাল লক্ষ্য করে তারা শট নেয় গোটা ম্যাচে সব মিলিয়ে ৩১টি। বিপরীতে বায়ার্নের জালে সর্বসাকুল্যে আক্রমণ চালিয়ে অকল্যান্ড শট নিতে পারে মাত্র ১টি। দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য বেশ ভালোভাবেই ফুটে ওঠে এই ম্যাচে।
আরও পড়ুন:
» বড় জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করল পিএসজি
» নারী দলেও প্রবাসী ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কি ভাবছে বাফুফে?
নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি এফসি দলে প্রায় সকলেই ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। কেউ ফুলটাইম নাপিত, কেউ দোকান কর্মী, কেউ আবার বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। দলটির স্কোয়াডে আছেন কাঠমিস্ত্রি থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট এজেন্টও। এমন সব ভিন্ন পেশাজীবী নিয়ে গড়া দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে গেছে অকল্যান্ড।
তবে এবারই প্রথমবার ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে গেছে দলটি তেমন নয়। এর আগেও এই টুর্নামেন্টের ১২ আসর খেলেছিল অকল্যান্ড। অপেশাদার হলেও দারুণ সফল দল তারা। দশবার হয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্লাব চ্যাম্পিয়ন। ১৩ বার জিতেছে ওশেনিয়া অঞ্চলের ওএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর ২০১৪ আসরে তারা হয়েছিল টুর্নামেন্টের তৃতীয়।
দলে থাকা ফুলটাইম চাকুরিজীবী ফুটবলাররা সপ্তাহে মাত্র তিন থেকে চার বার ট্রেনিংয়ের সুযোগ পান। মাঝে হয়তো খেলতে পারেন মাত্র এক ম্যাচ। যদিও প্রতি ম্যাচে সকল ফুটবলারকে একসাথে পাওয়া অনেক সময় হয়ে ওঠে কঠিন। ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে নিজেদের কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন সেই সকল ফুটবলাররা। তাও খেলতে হবে কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬জুন২৫/এফএএস
