গলা-ব্যথাজনিত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারছেন না ভারতীয় অধিনায়ক ও ওপেনার শুভমান গিল। শনিবার গুয়াহাটিতে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্ত।
গিলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি মাঠে নামলে তার ‘নেক স্পাজম’ বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই তাকে আরও বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফলে ৩০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও তার খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে জন্যও তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
গিলের অনুপস্থিতিতে একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাই সুদর্শন, দেবদূত পাডিক্কাল ও নিতিশ কুমার রেড্ডি।
কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র তিন বল খেলার পর গলা ব্যথা বাড়ায় গিলকে হাসপাতালে যেতে হয়। পরদিন বিসিসিআই জানায়, তিনি আর ম্যাচে ফিরতে পারবেন না। ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে ৩০ রানে ম্যাচ হারায় ভারত। এর আগেও ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ‘নেক স্পাজম’-এর কারণে একটি টেস্ট মিস করেছিলেন তিনি।
ভারতের ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোঠক গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, সামান্য আশঙ্কা থাকলেও গিলকে ঝুঁকি নিয়ে খেলানো হবে না। তিনি বলেন, ‘ও ভালোভাবে সেরে উঠছে। তবে সিদ্ধান্ত নেবে চিকিৎসকরা। সামান্য আশঙ্কাও থাকলে তাকে আরও বিশ্রাম দেওয়াই সঠিক হবে।’
ভারতের দলে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটার থাকায় গিলের বদলি নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। কলকাতা টেস্টে ভারতের একাদশে ছিলেন ছয়জন বাঁহাতি। সুদর্শন ও পাডিক্কালও বাঁহাতি ব্যাটার হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার অফস্পিনার সাইমন হার্মারের বিপক্ষে ম্যাচ-আপ নিয়ে কিছুটা দোটানায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে কোঠকের মতে, ‘বাঁহাতি-ডানহাতির হিসাব একটু বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ভালো ব্যাট করলেই হয়, ম্যাচ-আপ সবসময় ফল নির্ধারণ করে না।’
গুয়াহাটির উইকেট কলকাতার তুলনায় ব্যাটিং-বান্ধব হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য দলে খুব বেশি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। গিলের জায়গায় সুদর্শন সুযোগ পেলে ব্যাটিংয়ের ভারসাম্য রাখতে অক্ষর প্যাটেলের বদলে নিতিশ রেড্ডিকে দলে নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০নভেম্বর২৫/এআই