টান টান উত্তেজনা আর শেষ বলের নাটকীয়তায় ঘরের মাঠে অবশেষে ম্যাচ জিতে নিলো সিলেট টাইটান্স। মেহেদি হাসান রানার হ্যাট্রিকের পরে দারুণভাবে ঘুরে দাড়িয়েও জিততে পারল না নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ম্যাচের ২০তম ওভারে সাব্বির হোসেনের শেষ বলে সিংগেল নিয়ে জয়সূচক রান নেন সালমান ইরশাদ।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট টাইটান্স। পাওয়ারপ্লে ৬ ওভারের মধ্যেই হারিয়ে বসেন টপ অর্ডারের তিন উইকেট। তারপর পারভেজ হোসেন ইমন ও মেহেদী হাসান মিরাজের পার্টনারশিপে এগিয়ে যায় দল। দুজনের ৮৩ রানের পার্টনারশিপে দলের জয়ের ভিত মজবুত করেন। ইমন ৪১ বলে ৬০ করে আউট হলেও অন্য পাশে টিকে থাকেন মিরাজ। ২৬ বলে প্রয়োজন তখন ২৭ রান। তখনই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন প্রতিপক্ষ বোলার মেহেদি হাসান রানা। ১৮ তম ওভারে এসে টানা তিন উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিক করে সিলেটকে একাই ধসিয়ে দেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিলেটের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। অন্যদিকে নোয়াখালীর প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট। কিন্তু পার্ট টাইম বোলার সাব্বির হোসেনের নো বল ও ওভারে দুই বাউন্ডারির কারণে শেষ বলে ম্যাচ জিতে নেয় সিলেট। নোয়াখালীর হয়ে রানা ৩৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ ১৯ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট।
এর আগে ম্যাচে টসে জিতে নোয়াখালীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক সিলেট। তবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারেনি নোয়াখালী, মোহাম্মদ আমিরের বলে দলীয় শূন্য রানেই বিদায় নেন সাদাকাত। দলীয় ৯ রানে সোহানকে ফেরান খালেদ আহমেদ।
কোনো রান না করেই ফেরেন পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলী। ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নোয়াখালী। অঙ্কনকে সাতে নিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক সৈকত আলি। ২৯ বলে ২৪ করে দলীয় ৪১ রানে ফেরেন সৈকত।
ভালো করতে পারেনি সাব্বির হোসাইন। ১৫ বলে ১৫ করে ফেরেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। তবে ফিফটি তুলে নিয়েছেন অঙ্কন। শেষদিকে জাকের আলির ঝোড়ো ২৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেটে ১৪৩ রান করে নোয়াখালী। সিলেটের হয়ে এক মেইডেনসহ ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন খালেদ। ২ টি উইকেট পান সায়েম আইয়ুব।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭ডিসেম্বর২৫/টিএ
