বিপিএলের চলমান দ্বাদশ আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে যাত্রা শুরু করা নোয়াখালী এক্সপ্রেস এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে হার দিয়ে শুরু হওয়ায় কিছুটা চাপে আছে দলটি। সবশেষ সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের ব্যবধানে হারতে হয় নোয়াখালীকে।
শনিবারের ওই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেও জয় না পাওয়াটা হতাশাজনক বলে মনে করছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারাই শুরুতে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।
অঙ্কনের মতে, এই উইকেটে নতুন ব্যাটারদের জন্য শুরুটা সহজ ছিল না। বল শুরুর দিকে বেশ মুভ করছিল, ফলে প্রথম কয়েক ওভারে চাপ তৈরি হয়। তার মতে, সবাই সেভাবে দ্রুত মানিয়ে নিতে না পারলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য দলের আছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওভার রেটের কারণে ফিল্ডিংয়ে বাড়তি চাপ পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন অঙ্কন। নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় শেষ দিকে একজন ফিল্ডারকে বৃত্তের ভেতরে রাখতে হয়। যেখানে শিশিরের কারণে বোলারদের জন্য বল করা কঠিন হচ্ছিল সেখানে একজন ফিল্ডার বৃত্তের ভেতরে থাকায় পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে। তবুও শেষ পর্যন্ত জয়ের বিশ্বাস ছিল বলে জানান তিনি।
টানা দুই হারে পিছিয়ে পড়লেও দল নিয়ে আশাবাদী নোয়াখালীর এই ক্রিকেটার। অঙ্কনের মতে, মাত্র এক-দুই ম্যাচে কোনো দলকে বিচার করা ঠিক নয়। খেলোয়াড়দের সামর্থ্য আছে এবং দ্রুতই দল হিসেবে গুছিয়ে ওঠা সম্ভব।
নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে বিপিএলের মঞ্চে নোয়াখালীর শুরুটা প্রত্যাশিত না হলেও সামনে ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেখছেন দলের ক্রিকেটাররা। এখন দেখার বিষয়, সেই প্রত্যাশা মাঠের পারফরম্যান্সে কতটা প্রতিফলিত হয়।
এদিকে নোয়াখালী এখনো পূর্ণ শক্তির দল মাঠে নামাতে পারেনি। দলের তারকা ওপেনার সৌম্য সরকার যোগ দেয়নি দলের সাথে। অন্যদিকে বিদেশি কোটায় থাকা জনসন চার্লস, মোহাম্মদ নবী, কুসাল মেন্ডিসরাও দলের সাথে এখনো যোগ দেয়নি। ফলে দল গুছিয়ে মাঠে নামাই এখন চ্যালেঞ্জ নোয়াখালীর জন্য।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮ডিসেম্বর২৫/টিএ
