বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নোয়াখালী এক্সপ্রেসের সহকারী কোচ নিয়াজ খানকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোচনা। টুর্নামেন্টের শুরুতেই তাকে নিয়ে ওঠা নানা প্রশ্ন এবার পৌঁছেছে বিসিবির ইন্টিগ্রিটি ইউনিট পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
নিয়াজ খান বিপিএলের আগের আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন। চলতি আসরে তিনি নবাগত দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন। তবে বড় কোনো আন্তর্জাতিক বা উচ্চ পর্যায়ের কোচিং অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও টানা দুই মৌসুম বিপিএলে কাজ করায় তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেটে প্রতিভা অন্বেষণ, এমনকি এশিয়া কাপে আফগান দলের সঙ্গে কাজ করার দাবিও করেছিলেন নিয়াজ। তবে এসব তথ্য সরাসরি নাকচ করে দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই প্রেক্ষাপটেই এবার তার বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিপিএলের ইন্টিগ্রিটি ইউনিট।
বুধবার সিলেটে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, বিষয়টি হালকাভাবে দেখা হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিপিএলে একটি স্বতন্ত্র ইন্টিগ্রিটি ইউনিট কাজ করছে, যার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল। প্রয়োজনে দলগুলোকে কড়া নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
মিঠুর মতে, ‘আমাদের ইন্টিগ্রিটি ইউনিট স্বাধীনভাবে কাজ করে। অতীতেও এমন হয়েছে, কাউকে দলে রাখা যাবে না এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়াজ খানের বিষয়টিও সিরিয়াসলি নেওয়া হয়েছে এবং এটি অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বাধীন ইউনিটের কাছে রয়েছে।’
গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব আরও জানান, বিপিএলে কোনো অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছে। ‘অনেকে দেখে অবাক হয় একজনকে দলে নিয়েছে, টাকা দিয়েছে, তারপরও হঠাৎ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কেন। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখানে কোনো ছাড় নেই,’ বলেন তিনি।
সব মিলিয়ে নোয়াখালীর কোচ নিয়াজ খানকে ঘিরে ওঠা প্রশ্ন এখন বিসিবির সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা দেখাশোনার কাঠামোর ভেতরেই রয়েছে। ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের পর্যবেক্ষণ শেষে বিষয়টির ভবিষ্যৎ কী হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে বিপিএলের সংশ্লিষ্টরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩১ডিসেম্বর২৫/টিএ
