ইনজুরি নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে সবসময়ই। তবুও সান্তোসের হয়ে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শেষ করলো নেইমার। সান্তোসের প্রতিটি ম্যাচেই অসাধারণ অবদান রেখেছেন তিনি। ইনজুরি নিয়ে খেলেও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন তিনি। লক্ষ্যটা এখন স্পষ্ট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে আবার সেই পুরোনো জায়গায় ফেরানো।
চোটে জর্জরিত, অনিশ্চয়তায় ভরা পুরো বছরটা তার জন্য ছিল টালমাটাল। হাঁটুর অস্ত্রোপচার বাকি থাকলেও শৈশবের ক্লাবকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন তিনি। ক্রুজেইরোর বিপক্ষে ৩–০ জয়ের সঙ্গে সান্তোস নিশ্চিত করেছে টিকে থাকা, আর নেইমারও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। ম্যাচ শেষে হাসিমুখে জানালেন, ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার কোনো শিরোপা ছাড়া বছর শেষ করতে হলো যা তার কাছে অস্বাভাবিকই।
কিন্তু তার হাসির আড়ালেও ছিল বেশ খানিকটা দুশ্চিন্তার চাপ। ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাৎকারে নেইমার স্বীকার করলেন, দল অবনমন করলে সেটা তিনি মানতে পারতেন না। সারা মৌসুমে নিজের মতো করে খেলতে না পারা, লক্ষ্য পূরণ না হওয়া সব মিলিয়ে মানসিক চাপ ছিল প্রবল। তিনি আরও বললেন, সান্তোসে ফিরে এসে মাঠে নামা ছিল একমাত্র বড় অর্জন, আর সেটা করতে পেরেই কিছুটা স্বস্তিতে আছেন তিনি।
এদিকে চোট সামলানো নিয়ে উঠে এল আরেক তথ্য। নিজের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে বললেন, বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন রদ্রিও এখনও ফিরতে লড়াই করছেন, কিন্তু আমাকে ঘিরে সমালোচনার মাত্রা সবসময়ই বাড়াবাড়ি। “নেইমার পার্টি করে, নেইমার বের হয়” এই চেনা অভিযোগগুলো নিয়েই কটাক্ষ করলেন। ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে ম্যাচের পর সমালোচনার তীব্রতা তার মানসিক ভারসাম্য নড়িয়ে দিয়েছিল বলে জানান তিনি।
পুরোদমে ফিট না থাকলেও শেষ দিকে টিমের জন্য ঝুঁকি নিলেন। জুভেন্তুদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক, শেষ ম্যাচেও প্রভাব সবই ছিল সান্তোসকে নিচে নামা থেকে বাঁচানোর তাড়না। তার মতে, অবনমন হলে সেটা মেনে নেওয়া যেত না। কোপা সুদামেরিকায় খেলার সুযোগটাকেও তাই তিনি দেখছেন বাড়তি পুরস্কার হিসেবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ডিসেম্বর২৫/টিএ