
সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, তামিম সকালেই ক্রিকেট বোর্ডে উপস্থিত হন। মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী ইসরাফিল খসরু। দুপুর ২টায় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের আগে জানা গেছে, তামিমের মতো আরও অন্তত আটজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন।
এর পেছনে সরকারের হস্তক্ষেপ ও বিতর্কিত ক্লাব কাউন্সিলর অন্তর্ভুক্তির অভিযোগকে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গতকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্ট বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তি স্থগিত করে আদেশ দেন। এরপর থেকেই ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছিল, তামিম সরে দাঁড়াতে পারেন।
আসলে এ নিয়ে অসন্তোষ নতুন নয়। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে তামিম অভিযোগ করেছিলেন, জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলর নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং বিসিবি সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।
আজ শুধু তামিমই নন, বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরুও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তিনিও জানান, সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
এ পর্যন্ত যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন
ক্যাটাগরি-২: তামিম ইকবাল, সাইদ ইবরাহিম, ইসরাফিল খসরু, রফিকুল ইসলাম বাবু, বোরহানুল পাপ্পু, মাসুদুজ্জামান, আসিফ রব্বানি, মির্জা ইয়াসির আব্বাস, সাব্বির আহমেদ রুবেল।
ক্যাটাগরি-১: মির হেলাল।
ক্যাটাগরি-৩: সিরাজ উদ্দিন আলমগীর।
নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আজ দুপুরে প্রকাশ করা হবে। তবে তামিম ও অন্যদের সরে দাঁড়ানোয় ভোটের লড়াইয়ের চিত্র এখন অনেকটাই বদলে গেছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১অক্টোবর২৫/টিএ
