
টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম সহযোগী দেশ হিসেবে টেস্ট খেলুড়ে দলকে ধবলধোলাই করার স্বপ্নটা একেবারে হাতের মুঠোয় ছিল নেপালের। কিন্তু শেষ ম্যাচেই সব ভেস্তে গেল। সিরিজ জিতলেও আজ শারজায় ক্যারিবীয়দের কাছে লজ্জাজনক হারে থেমে গেল ইতিহাস গড়ার দৌড়।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি জয় নিয়ে ২–০ তে এগিয়ে ছিল নেপাল। তাই শেষ ম্যাচে জিতলেই হতো টেস্ট খেলুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ। কিন্তু সেদিনটা ছিল না নেপালের জন্য। মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। জবাবে ১০ উইকেট হাতে রেখেই ৪৬ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে সিরিজ শেষ হয় ২–১ ব্যবধানে।
নেপালের ব্যাটিংয়ে খানিকটা লড়াই দেখা গেছে ওপেনার কুশল ভুরতেলের ব্যাটে। ২৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি, হাঁকান ৩টি ছক্কা। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ ৯ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৬২ রানে। অধিনায়ক রোহিত পৌডেল করেন ১৭ রান।
ক্যারিবীয়দের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন বাঁহাতি পেসার র্যামন সাইমন্ডস। মাত্র দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতেই ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
জবাবে ব্যাট হাতে ঝলক দেখান ওপেনার আমির জাঙ্গু। মাত্র তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪৫ বলে ৭৪ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার মিশেলে পান নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি। তার সঙ্গী অ্যাকিম অগাস্টেও ছিলেন স্বচ্ছন্দ, ২৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হয়ে ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একতরফা দাপটের মঞ্চ। সিরিজ অবশ্য হাতছাড়া হয়নি নেপালের, তবে ইতিহাস গড়ার যে সুযোগ সামনে ছিল, সেটাই হাত ফসকে বেরিয়ে গেল।
ক্রিফোস্পোর্টস/১অক্টোবর২৫/টিএ
