
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল রাতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আইসিসির সহযোগী দেশ নেপাল। আর সেখানেই উইন্ডিজকে পরাজিত করে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে হিমালয়ের দেশটি।
গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ রানের পরাজয় উপহার দিয়েছে নেপাল। এদিন আগে ব্যাট করে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে রোহিত পাউডেলের দল। জবাব দিতে নেমে ১২৯ রানেই থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। আর এতেই স্বরণীয় এক জয়ের স্বাক্ষী হলো নেপাল। যেখানে যেকোন ফরমেটে আইসিসির টেস্ট খেলুড়ে কোনও দলকে প্রথমবার পরাজিত করল তারা।
এমন জয়ের পর নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পর! অবশেষে জয়টা এল সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত এক ঐতিহাসিক সিরিজে। আমার মনে হয়েছিল স্কোর ভালো হয়েছে, পিচও ভালো ছিল। এখানে ১৫০-১৬০ রানই গড় স্কোর। কারণ আগের সিরিজগুলোতেও প্রথমে ব্যাটিং করা দলগুলো এই স্কোরের আশেপাশে জিতছিল। তাই আমরাও চেয়েছিলাম ১৫০-১৬০ রান করতে, যাতে প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেওয়া যায়।’
এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেপালের৷ মাত্র ১২ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা৷ এরপর কুশল মাল্লা ও অধিনায়ক রোহিত পাওডেল বিপর্যয় সামলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ২১ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান করেন কুশল। আর ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন রোহিত। এরপর বাকিদের ছোট ছোট স্কোরে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে নেপাল।
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতেই রানআউট হন কাইল মেয়ার্স। আরেক ওপেনার আমির জাঙ্গু ফিরে যান ২২ বলে ১৯ রান করেই। তিনে নামা আকিম আগুস্তে ঝড় তোলার আভাস দিলেও আউট হন ৭ বলে ১৫ রান করে। দলীয় ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে উইন্ডিজ। শেষ ৫ ওভারে ৭০ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
শেষ দিকে ৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক আকিল৷ নাভিন বিদাইসির ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৫ রান। কার্টি রানআউট হন ১৫ বলে ১৬ রান করে। শেষ পাঁচ ওভারে ৭০ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়ল তারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮সেপ্টেম্বর২৫/এফএএস
