
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা হয়নি। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে লিড নিতে দেয়নি বাংলাদেশ। স্পিনার নাঈম হাসানের হঠাৎ ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। এতে করে লিড পায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে ৪৮৫ রানে অলআউট হয়েছে লঙ্কানরা। ১০ রানের লিডে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশ।
স্পিনার নাঈম হাসান একাই ৫টি উইকেট শিকার করেন। হাসান মাহমুদ ৩টি এবং তাইজুল ও মুমিনুল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
গল টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ১২৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক লঙ্কানরা।কিন্তু দিনের করা তৃতীয় ওভারেই নাঈম হাসানের হাতে কুপোকাত হতে হয় লঙ্কান ব্যাটিং অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ১৯ রান। কুশাল মেন্ডিসকে ক্রিজে সেট হতে দেননি হাসান মাহমুদ। তার লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৫ রান।

৫ উইকেট নেয়ার পর সিজদা দিয়ে উদযাপন করেছেন নাঈম। ছবি- সংগৃহীত
আরও পড়ুন:
» শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে মেসিদের সামনে যে সমীকরণ
» ফ্রি-কিক থেকে গোলে জয়ের পর প্রতিপক্ষকে মেসির বার্তা
অপরপ্রান্তে কামিন্দু মেন্ডিস দলকে একাই টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন মিলান রত্নানায়েক। এই জুটি থেকে থেকে আসে ১৫৩ বলে ৮৪ রান। কিন্তু হাসান মাহমুদের স্পেলিংয়ে এই পার্টনারশিপ ও ভেঙে যায়।ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে মিলন রত্নায়কের ব্যাট থেকে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৩১ রান।
তারপর শুরু নাঈমের স্পিন ভেলকি। একের পর এক উইকেট নিতে থাকেন, তার বোলিংয়ে ছত্রভঙ্গ হতে থাকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা করেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা কামিন্দু ম্যান্ডিসকে দিয়ে। সেঞ্চুরি আক্ষেপ রেখেই ৮৭ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানকে। তারপর একে একে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান থারিন্দু রতনায়েক এবং আসিথা ফার্নান্দু।
১০ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তুলে ৭০ রানের লিড হয়েছে সফরকারীদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০জুন২৫/এআর/এজে
