তাসকিনের শারজাহ ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে আইএল টি-টোয়েন্টি লিগ-২০২৫ এ সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করল মুস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালস। শারজাহর দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দুবাই। এদিন দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মুস্তাফিজ। ২৭ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট।
১৩৫ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দুবাই। ওপেনার সেদিকুল্লা আতালকে আউট করেন হারমিত সিং। ১৪ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। তারপর জর্ডান কক্স ও শায়ান জাহাঙ্গীর মিলে দলকে এগিয়ে নেন। দুজনে মিলে করেন ৮৬ রানের পার্টনারশিপ। ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে সাজঘরে ফেরেন শায়ান। এরপর কিছুটা চাপে পরে যায় দুবাই। কিন্তু অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন জর্ডান কক্স। ৪৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। টিম সাউদির বলে টানা চারটি ৪ মেরে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় মুস্তাফিজের দুবাই।
এদিন, বোলিংয়ে শারজাহর হয়ে দুর্দান্ত স্পেল করেন সিকান্দার রাজা ও হারমিত সিং। ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন রাজা। অন্যদিকে ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পান হারমিত সিং, ২৯ রান দিয়ে তাসকিন আহমেদ নেন ১ উইকেট।
অন্যদিকে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শারজাহ ওয়ারিয়র্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে ১৩৪ রান। ফলে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে দুবাই ক্যাপিটালস
শারজাহর ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন জনসন চার্লস। ৪৬ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও দুটি ছক্কা। শুরুতে মনাঙ্ক প্যাটেলের ঝড়ো ২৪ রান কিছুটা গতি এনে দেয় দলকে। মাত্র ১৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৮৪ স্ট্রাইক রেটে করেন ২৪ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষের দিকে ছোট ছোট কিছু পার্টনারশিপ হলেও বড় স্কোর করতে পারেনি দল। ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৪ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
দুবাই ক্যাপিটালসের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন হায়দার আলী। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ওয়াকার সালামখেইলও ২ উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে পান একটি উইকেট, ইকোনমিও ছিল ৭ এর নিচে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫ডিসেম্বর২৫/টিএ
