শারীরিক নানা জটিলতায় প্রায় ৯ মাস ধরে স্বীকৃত ক্রিকেটের বাইরে তামিম ইকবাল। আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও দেখা যাবে না এই দেশসেরা ওপেনার কে। আর তাতেই সুযোগ তৈরি হয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের। মুশফিকের সামনে এখন সুযোগ, তামিমকে কাটিয়ে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১২তম আসর। এবারের আসরে নতুন দল রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন মুশফিক। নিলামের প্রথম রাউন্ডের দল না পেলেও, দ্বিতীয় রাউন্ডে এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে দলে ভিড়িয়েছে রাজশাহী।
এবারের আসরে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন মুশফিক। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমের চেয়ে ৩৮৯ রান পিছিয়ে আছেন মুশফিক।
বিপিএলের প্রথম ১১ আসর খেলে ১১৮ ম্যাচে ৩২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৮৩৫ রান করেছেন তামিম। অন্য দিকে ১৪০ ম্যাচে ২১ ফিফটিতে মুশফিকের সংগ্রহ ৩ হাজার ৪৪৬ রান। সামনের আসরে তাই ৩৮৯ রান করলেই সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএলে তামিম ও মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারের ৩ হাজার রান নেই। নিকট ভবিষ্যতে মুশফিক ছাড়া তাই আর কারও পক্ষে তামিমের রেকর্ড ভাঙাও সম্ভব নয়। তবে এবারের আসরেই ৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারলে তালিকার শীর্ষে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন কুমার দাস কে।
টুর্নামেন্টের গত আসরটি খুব একটা ভালো যায়নি মুশফিকের। ১৪ ইনিংসে তিনি করেছিলেন মাত্র ১৮৪ রান। এবার নিজের সেরাটা দিতে পারলে তামিমকে টপকে সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১। তামিম ইকবাল – ৩৮৩৫ রান
২। মুশফিকুর রহিম – ৩৪৪৬ রান
৩। এনামুল হক বিজয় – ২৭৭৬ রান
৪। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ – ২৭২৬ রান
৫। লিটন দাস – ২৪৪৩ রান
ক্রিফোস্পোর্টস/৮ডিসেম্বর২৫/এআই