ইতিহাসের সাক্ষী হতে আজকের দিনে মাত্র এক রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকুর রহিমের। আর সেটা করতেই বিশ্বের মাত্র ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের শততম টেস্ট ম্যাচে ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তারকা টাইগার ক্রিকেটার। দিনের খেলা শেষে এই শতক প্রয়াত দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে উৎসর্গ করেছেন মুশফিক।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুশফিক। দাদা-দাদি ও নানা-নানির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যখন বেঁচে ছিলেন, আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন। খুব কম নাতি-নাতনিদের ভাগ্যে এমনটা জোটে। তাদের দোয়াতেই আমি আজকে এই পর্যায়ে। এই বিশেষ অর্জন তাদেরকেই উৎসর্গ করতে চাই।’
এরপর নিজের স্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন মুশফিক। তিনি মনে করেন, ২০১৪ সালের পর তার ক্রিকেটে যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে, এর পেছনে স্ত্রীর অবদান সবচেয়ে বড়। তার স্ত্রীর কারণেই পরিবার নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হতে হয়নি মুশফিককে। এতে মাঠের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছেন এই টাইগার ক্রিকেটার।
নিজের স্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রথম শততম টেস্ট খেলোয়াড় মুশফিক বলেন, ‘আমার দুটো বাচ্চা আছে। বাচ্চারা রাতে ঘুমায় না, তবে আমার কখনো একদিনও নির্ঘুম রাত কাটেনি। পুরোটা সময় সে-ই রাত জেগে বাচ্চাদের সামলেছে। আমাকে চিন্তা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। আমি তার কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।’

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকালেন মুশফিকুর রহিম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আজ মুশফিক ফিরেছেন ১০৬ রান করে। এতে করে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ সেঞ্চুরি হাকানোর রেকর্ডে যৌথভাবে মমিনুল হকের সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন তিনি। দেশের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪৫৭ রান সংগ্রহ করেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। যিনি এতগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলেও কখনো ডাক মেরে ফেরেননি।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০নভেম্বর২৫/এফএএস