ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলছে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। এই রাউন্ডের চারটি ম্যাচেই বাধা দিয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে তিনদিনেই খুলনা বিভাগকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন রাজশাহী বিভাগ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এনসিএলের তৃতীয় দিনে খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ১২১ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রান তুলে রাজশাহী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন শাখির হোসেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। তাতে ১০৯ রানের সহজ লক্ষ্য পায় রাজশাহী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হাবিবুর রহমান সোহানের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
তবে রাজশাহী-খুলনার ম্যাচ তিন দিনেই শেষ হলেও বাকি তিনটি ম্যাচ ড্রয়েফ পথে। সিলেটের একাডেমি গ্রাউন্ডে ঢাকার বিপক্ষে খেলছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩১০ রান তুলেছে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৭ উইকেটে ২৬০ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট। এখনও ৫০ রানে পিছিয়ে জাকির হাসানের দল।
সিলেটেফ হয়ে সেঞ্চুরির পথে মুশফিকুর রহিমম সেঞ্চুরি থেকে আর মাত্র ৭ রান দূরে এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশকিক। অধিনায়ক জাকিরের ব্যাটে আসে ৪৩ রান। আর ক্রিজে ৫ রানে অপরাজিত আছেন এবাদত হোসেন। আগামীকাল মুশফিক ও এবাদত মিলে শেষদিনের খেলা শুরু করবেন।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রংপুরকে রানবন্যায় ভাসিয়েছে ময়মনসিংহ। প্রথম ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। মাহফিজুল ইসলাম ১২৭, নাঈম শেখ ১১১ এবং আব্দুল মজিদ ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাবে রংপুর ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে। আগামীকাল চতুর্থ দিনের ব্যাটিংয়ে নামবে তারা।
কক্সবাজারের শেখ কামাল একাডেমি মাঠে আরেক ম্যাচে খেলছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল। এই ম্যাচটিও ড্রয়ের পথে। চট্টগ্রাম প্রথমে ব্যাট করে সাদিকুর রহমানের ১২২ ও মুমিনুল হকের ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৬৬ রান করেছে বরিশাল। তৃতীয় দিন শেষে ১৯২ রানে পিছিয়ে তারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩নভেম্বর২৫/বিটি