Connect with us
সাক্ষাৎকার

বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সাথে মোহামেডানের নাম জড়িয়ে আছে

Imtiaz Sultan Johnny
একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ছবি- ক্রিফো স্পোর্টস

ইমতিয়াজ সুলতান জনি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম। ফুটবলের সোনালী যুগের অন্যতম এক সিপাহসালার তিনি। ষাটের দশক জন্ম নেওয়া এই প্রতিভাবান খেলোয়াড় মূলত লেফট ব্যাক হিসেবে খেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন, তবে তার দক্ষতা ও কৌশলের কারণে মাঝমাঠেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইমতিয়াজ সুলতান জনি ১৯৮২ সালে আবাহনী ক্রীড়া চক্রে যোগ দিয়ে ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত হ্যাটট্রিক লীগ শিরোপা জয় করেন এবং ১৯৮৫ সালে অধিনায়ক হিসেবে ক্লাবকে ডাবল শিরোপা উপহার দেন। পরে তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দিয়ে ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আরও একটি হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় করেন।

ক্লাব ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দলেও অনন্য অবদান রেখেছেন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই, ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইসহ অনেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

খেলোয়াড়ি জীবনের সফলতার পর জনি মাঠের বাইরে থেকেও দেশের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থেকে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বর্তমানে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান এবং ১৯৮৮ সালে স্পোর্টস রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার লাভ করেন। মাঠের ভেতর ও বাইরে তার নেতৃত্বগুণ ও অভিজ্ঞতা দেশের ফুটবল অঙ্গনে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

Imtiaz Sultan Johnny

ফুটবলের সোনালী যুগের অন্যতম এক সিপাহসালার ইমতিয়াজ সুলতান জনি। ছবি- সংগৃহীত

সময়ের পরিক্রমায় খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নিলেও, ফুটবল তাকে ছাড়েনি। একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমতিয়াজ সুলতান জনি তুলে ধরলেন বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে মোহামেডানের গৌরবময় কিছু অধ্যায়। সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ক্রিফো স্পোর্টস এর ক্রীড়া প্রতিবেদক ইশতিয়াক হোসেন রাতুল।

ক্রিফো স্পোর্টস : মোহামেডান ক্লাব নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

ইমতিয়াজ সুলতান জনি : মোহামেডান একটি ঐতিহাসিক ক্লাব। বাংলাদেশে এটি অন্যতম সেরা ক্লাব হিসেবে বিবেচিত (ওয়ান অব দ্য বেস্ট ক্লাব ইন দিস কান্ট্রি)। শুধু একটি ফুটবল ক্লাব নয়, এটি একটি আবেগ, একটি পরিচয়। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে মোহামেডানের ভূমিকা অনেক।

ক্রিফো স্পোর্টস : মোহামেডানের ঐতিহ্য নিয়ে কী বলবেন?

ইমতিয়াজ সুলতান জনি : মোহামেডানের ইতিহাসের সঙ্গে অনেক কিছুই জড়িত। এই ক্লাবের জন্ম পাকিস্তান সৃষ্টিরও আগে- ১৯৩৬ সালে। মোহামেডান একটি ঐতিহাসিক ক্লাব। এই ক্লাবের রেকর্ডই সবকিছু বলে দেবে। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট, হকিতে ক্লাবের অবদান আছে। অন্যান্য খেলাতেও একসময় ক্লাবটি অত্যন্ত সক্রিয় ছিল।

Mohammedan SC

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ছবি- ক্রিফো স্পোর্টস

ক্রিফো স্পোর্টস : দেশের ক্রীড়াঙ্গনে মোহামেডানের অবদানকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

ইমতিয়াজ সুলতান জনি : বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সাথে মোহামেডানের নাম জড়িয়ে আছে। দেশের স্পোর্টসকে যদি ধারণ করতে হয়, তবে মোহামেডানের নাম এমনিতেই চলে আসবে। আমরা অনেকেই এই ক্লাবের সদস্য ছিলাম বা আছি—তবে মোহামেডান সবসময়ই মোহামেডানই রয়ে গেছে। নিজস্ব স্বকীয়তা ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

ক্রিফো স্পোর্টস : সামনের দিনগুলোতে নতুন কী দেখা যেতে পারে? নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে?

ইমতিয়াজ সুলতান জনি : পুরো ক্লাব পরিচালনার বিষয়টি আমার হাতে নেই- এটি ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি, মোহামেডান সবসময়ই দেশের ক্রীড়াকে ধারন করে এবং শীর্ষে রাখার চেষ্টা করে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেই ঐতিহ্য বজায় রাখা এবং আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

Mohammedan SC

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ছবি- ক্রিফো স্পোর্টস

ক্রিফো স্পোর্টস : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ইমতিয়াজ সুলতান জনি : আপনাকে এবং ক্রিফো স্পোর্টস পরিবারকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

 


আরও পড়ুন

» মাঠে ফিরছেন তাসকিন, খেলবেন শ্রীলঙ্কা সিরিজে?

» বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল


ক্রিফোস্পোর্টস/২৯মে২৫/আইএএইচআর/এসএ

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in সাক্ষাৎকার