 
																												
														
														
													বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে আবারও ফিফার শাস্তি। এবার শাস্তি পেল ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা গত বুধবার ক্লাবটির নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মূলত ঝামেলার শুরু ইরানি ফুটবলার মিসাম শাহ জাদেহকে নিয়ে। ২০২২–২৩ মৌসুমে মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়ায় ফিফায় অভিযোগ করেন। ফিফা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপরই মোহামেডানের ওপর শাস্তি আসে।
ফিফার চিঠিতে সরাসরি বলা আছে, মোহামেডান এখনো মিসামের পাওনা টাকা শোধ করেনি। তাই জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোথাও নতুন খেলোয়াড় নিতে পারবে না তারা, যতক্ষণ না পুরো টাকা মিটিয়ে দেয়।
এ নিয়ে ক্লাবের কোচ আলফাজ আহমেদ বলেন, “২০২২–২৩ লিগের প্রথম পর্বের শেষে ইরানের খেলোয়াড়কে পাওনা বুঝিয়ে বিদায় দিয়েছিলাম। কিন্তু সে বলছে, আরও পাঁচ মাসের বেতন বাকি। মাসে ৮ হাজার ডলার হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার ডলার দাবি করছে, সঙ্গে জরিমানাও যোগ হয়েছে।”
ক্লাবের এক সূত্র জানান, সব মিলিয়ে ইরানি ফুটবলারের বকেয়া ও জরিমানা প্রায় ৬০ হাজার ডলার।
উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বসুন্ধরা কিংস ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল। গত মৌসুমে তাদের কোচ ভ্যালেরি তিতা আর ট্রেনার খলিল চাকরৌন অভিযোগ করেন, চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাননি। ফিফা তখন কিংসকে ২৭ আগস্টের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দিতে বলে। সময়মতো না মেটানোয় ওই দিনই কিংসের খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আসে। ফিফা এই তথ্য ওয়েবসাইটেও দিয়েছিল।
এর আগে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবও একই সমস্যায় পড়েছিল। উজবেক ফুটবলার সারদর জাখোনভের বেতন বাকি থাকায় ফিফায় অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের ওপরও ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা।
এভাবে একের পর এক ঘটনা দেশের ক্লাব ফুটবলের আর্থিক ব্যবস্থাপনা আর সুশাসন নিয়েই নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। এইরকম আর্থিক অব্যবস্থাপনা চলমান থাকলে ভবিষ্যতে বাইরের দেশের কোনো প্লেয়ার বাংলাদেশে এসে খেলার আগ্রহই হারিয়ে ফেলবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩১অক্টোবর২৫/টিএ
 
												
																					 
   
										 
									         
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																							 
																							 
																							 
																							 
																							 
			 
									 
									 
									 
									 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	