
জাতীয় দল ও ঘরোয়া লিগে দারুণ সময় পার করছিলেন তরুণ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। গত বছর থেকেই বাংলাদেশ দলে কাবরেরার প্রথম পছন্দ মিতুল। এমনকি ঘরোয়া লিগে আবাহনীর হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছিলেন তিনি। তাই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও গোলপোস্টের নিচে তার ওপরই আস্থা রেখেছিলেন কাবরেরা।
জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ দুই ম্যাচে ভারত ও ভুটানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন মিতুল। দুটো ম্যাচেই ক্লিন শিট রেখেছিলেন তিনি। তবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২ গোল হজম করেছেন এই তরুণ গোলরক্ষক।
ভাই হারানোর শোক নিয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলেছেন মিতুল। ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর আত্মবিশ্বাস ধরে সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ৬ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার বড় ভাই। তবে এই শোক নিয়েই চারদিন পর ঢাকায় সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হন মিতুল। যা কিছুটা হলেও প্রভাব গেলেছে তার পারফরম্যান্সে।
আরও পড়ুন:
» হারের পেছনে কাবরেরাকে দায়ী করলেন দেশি কোচ ও সাবেকরা
» এশিয়ান কাপে অংশ নিতে বাংলাদেশের সামনে এখন যে সমীকরণ
মিতুল তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ভাই হারানোর শোকের কথা জানিয়ে লিখেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্তগুলো আমার ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে। আমি এমন কিছু ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি, যা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কিছুদিন আগে যখন আমার বড় ভাই মারা যান, আমি প্রথমবার সত্যিই অনেক দুঃখ পেয়েছিলাম।’
তবে বড় ভাইকে হারানোর পরও সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রতি পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন মিতুল। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে না পারায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তরুণ গোলরক্ষক।
মিতুল লিখেন, ‘ভাইকে হারানোর শোক নিয়েও আমি দেশকে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি ম্যাচে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এ জন্য সত্যিই আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এটা আমার জন্য সত্যিই কঠিন সময় ছিল। আমার ভুলগুলোর জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বিশ্বাস রাখুন, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব’
বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যে অংশ নিতে নিজ বাড়ি রাঙামাটিতে যাননি মিতুল। যদিও ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোক বুকে নিয়েই দলের সঙ্গে অনুশীলন চালিয়ে যান।
ক্রিফোস্পোর্টস/১১জুন২৫/বিটি
