
যেকোনো ম্যাচে ব্যাটিং একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে ব্যাটিং সবসময় আলাদা ভূমিকা রাখে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও হারের মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দু’দলের ব্যাটিং। আলাদা করে বলতে গেলে বড় করে জুটি গড়া।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২২২ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পথে বাংলাদেশ মাত্র একটি বড় জুটি গড়তে পেরেছিল। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মিরাজ করেছিলেন ১৪১ বলে ১০১ রানের জুটি। কিন্তু এছাড়া বড় কোনো জুটি আসেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এসেছে হৃদয় আর অভিষিক্ত সাইফ হাসানের। তাও সেটা ৪০ বলে ২৮ রান!
অন্যদিকে রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের কোনো জুটি শত রান না ছাড়ালেও তিনটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি এসেছে। যা ছিল ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরান করেছিলেন ৫২ রানের জুটি। তারপর তৃতীয় উইকেটে গুরবাজ ও রহমত শাহ মিলে ১১১ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। কিন্তু দুজনই ৫ বলের মধ্যে আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তখনই ওমরজাই ও শাহিদির ৫৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় তারা।
বাংলাদেশের হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক মিরাজ। তিনি বলেন, ‘শেষদিকে আমরা জুটি পাইনি। সেখানেই সমস্যাটা হয়েছে। এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল। উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ২৬০ রানের বেশি করতে পারতাম, তাহলে বোলারদের জন্য সহজ হতো। আমাদের যথেষ্ট ভালো বোলার আছে। কিন্তু তাঁদের হাতে আমরা(ব্যাটিং বিভাগ) যথেষ্ট রান তুলে দিতে পারিনি।’
এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়েই ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই অসহায় আত্নসমর্পণ করলো তারা। এখনো আরও দুটি ম্যাচ বাকি। যদি ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য বাছাইপর্ব খেলতে না হয়, সেক্ষেত্রে এই সিরিজটা জেতা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবুও হাল ছেড়ে দেননি মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো সুযোগ আছে। এক ম্যাচ গেছে, আরও দুটি বাকি আছে। প্রথম ম্যাচে কিছু ভুল করেছি, আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব এগুলো থেকে শিখব। আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী প্লেয়াররা পরের ম্যাচে আরও ভালো করবে এবং আমরা জয়ে ফিরতে পারবো।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯অক্টোবর২৫/টিএ
