এ যেন রূপকথার গল্প! সোনার ছেলের আগমনে স্বর্গে পরিণত হলো গোটা রাজ্য! কয়েক বছর আগেও এমএমএস লিগে তলানির দল ছিল ইন্টার মায়ামি। তবে লিওনেল মেসি যোগ দিতেই বদলে গেছে দলটির অবস্থা। শুরু করেছে একের পর এক শিরোপা জিততে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ জিতল মায়ামি।
আজ শনিবার চেজ স্টেডিয়ামে এমএলএস কাপের ফাইনালে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিয়ামি। যা তাদের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম। এর আগে সম্প্রতি ইস্টার্ন কনফারেন্সের শিরোপাও বাগিয়েছে দলটি। মেসির আসার পর প্রথম মৌসুমে তারা জিতেছিল লিগস কাপ। এরপর যোগ হয় সাপোর্টার্স শিল্ড।
যদিও ফাইনাল ম্যাচে আজ মেসি গোলের দেখা পাননি, তবুও তিনিই ছিলেন ফাইনালের সবচেয়ে বড় নায়ক। প্রতিটি ক্যামেরার লেন্স যেন বারবার খুঁজে নিচ্ছিল তাঁকেই। এই ম্যাচে গোল না করলেও সকল গোলে দারুণ অবদান রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। অবশ্য এদিন সমান ১-১ গোলে বিরতিতে যাওয়ায় ম্যাচের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চাপে ছিল উভয় দল।
ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটে মধ্যমাঠে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আলেন্দের উদ্দেশ্যে নিখুঁত পাস দেন মেসি। আলেন্দে ডান দিক দিয়ে ঢুকে ক্রস করলে তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ায় এডিয়ার ওকাম্পো। আত্মঘাতী গোলে লিড নিয়েই পুরো প্রথমার্ধ শেষ করে মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য সমতায় ফেরে ভ্যানকুভার।
ব্রায়ান হোয়াইটের সহায়তায় ভ্যানকুভারের হয়ে গোল করেন আলি আহমেদ। তবে এরপরই ম্যাচে আসে টার্নিং পয়েন্ট। আন্দ্রেস কুবাসের থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে দারুণভাবে রদ্রিগো ডি পলকে পাস দেন মেসি। ডি পল তখন ইয়োইহে তাকাওকাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান। ম্যাচের শেষ দিকে আবারও আর্জেন্টাইন তারকার অ্যাসিস্টে গোল করেন আলেন্দে।
এমএলএস কাপের ম্যাচটি বিশেষ ছিল আরও একটা কারণে। এটি ছিল বার্সেলোনার দুই কিংবদন্তি জর্দি আলবা ও সের্জিও বুসকেটসের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। বার্সার হয়ে ১১ মৌসুমে ছয়টি লা লিগা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং স্পেনের হয়ে ইউরো ২০১২ জিতেছেন আলবা। আর বার্সেলোনার হয়ে ৭২২ ম্যাচে ৩২টি ট্রফি এবং স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো জিতেছেন বুসকেটস।
ক্রিফোস্পোর্টস/৭ডিসেম্বর২৫/এফএএস