
ঘরের মাঠে কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের কাছে হেরে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিল ইন্টার মায়ামি। এর আগে প্রথম লেগেও একই দলের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন দলটি। তবে আশা ছিল—মেসি, সুয়ারেজ, আলবা ও বুসকেটসদের অভিজ্ঞতায় ঘরের মাঠে হবে এক ঐতিহাসিক কামব্যাক।
আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে ভ্যাঙ্কুভারকে আতিথ্য দেয় ইন্টার মায়ামি। ম্যাচের ৯ মিনিটেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জর্দি আলবার ক্রস থেকে গোল করে দলকে ১-০ তে এগিয়ে নেন। তবে ভ্যাঙ্কুভার রক্ষণাত্মক হওয়ার বদলে আক্রমণাত্মক খেলায় মনোযোগ দেয়, কারণ একটি অ্যাওয়ে গোলই তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হওয়ায় মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো শুরু থেকেই মাঠে নামান সব তারকাকে। কিন্তু বারবার সুযোগ মিস করায় শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আরও পড়ুন:
»মিলান দূর্গ থামিয়ে দিল বার্সার জয়রথ
»এবারও পারলেন না রোনালদো, বাড়ল অপেক্ষা
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইন্টার মায়ামি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরান ভ্যাঙ্কুভারের ব্রায়ান হোয়াইট। সেবাস্টিয়ান বারহালটার একটি চমৎকার পাস বাড়ান হোয়াইটের উদ্দেশ্যে, যেটি তিনি ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান। মিনিট দুয়েক পরেই সফরকারীদের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন পেদ্রো ভিতে। ৭১ মিনিটে সেবাস্তিয়ান বারহালটার নিজের নামও স্কোরশিটে তোলেন, যা ছিল মায়ামির বিদায়ঘণ্টা।
দুই লেগ মিলিয়ে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ইন্টার মায়ামিকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায়।
ড্যানিশ কোচ জেসপার সোরেনসনের অধীনে ভ্যাঙ্কুভার দলটি মায়ামির ধীরগতির রক্ষণভাগ ও ক্লান্ত মিডফিল্ডের তুলনায় ছিল অনেক বেশি গতিময় ও কৌশলী। তারা এখন প্রথম কানাডিয়ান ক্লাব হিসেবে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
ফাইনালে ভ্যাঙ্কুভারের প্রতিপক্ষ হবে মেক্সিকান ক্লাব ক্রুজ আজুল ও টাইগ্রেস ইউএএনএল-এর মধ্যকার সেমিফাইনালের বিজয়ী। ওই ম্যাচের প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
ক্রিফোস্পোর্টস/১মে২৫/আইএএইচআর /এনজি
