
মাঠে তার কারিশমা যেমন দর্শকদের মোহিত করছে, তেমনি বেতন তালিকায়ও লিওনেল মেসির একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)। ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলা এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এমএলএসের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলারের তকমা ধরে রেখেছেন।
এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি ২০২৫ মৌসুমের বেতনসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় দেখা যায়, মেসির নিশ্চিত বেতন ২০.৪৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫১ কোটি টাকা (১ ডলার = ১২৩ টাকা ধরে)। এই অঙ্ক কেবল তার মাঠের পারিশ্রমিক তাছাড়াও রয়েছে অ্যাডিডাস, অ্যাপল ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির সুবাদে আয় করা বিশাল পরিমাণ অর্থ।
বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস বিজনেস ম্যাগাজিন স্পোর্টিকোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ইন্টার মায়ামির সঙ্গে যে আড়াই বছরের চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি, তার পুরো মেয়াদ শেষে তার মোট আয় ১৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,৮৪৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
» আড়াইশ করতে পারেনি বাংলাদেশ, দারুণ জবাব দিচ্ছে লঙ্কানরা
» বোল্ড হয়েও ডিআরএসের আবেদন! অতঃপর
মেসির পরে বেতন তালিকায় আছেন টরন্টো এফসি-র ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড লোরেঞ্জো ইনসিনিয়ে, যিনি ১৫.৪৪ মিলিয়ন ডলার আয় করছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেসির ক্লাব সতীর্থ ও বার্সেলোনার প্রাক্তন মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটস, যার আয় ৮.৫ মিলিয়ন ডলার।

এ বছরে এমএলএসে মেসির আয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,৮৪৫ কোটি টাকা।
এরপর চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে মিগুয়েল আলমিরন এবং চুকি লোজানো।
কেবল ব্যক্তিগত নয়, দলীয় অর্থনীতিতেও শীর্ষে ইন্টার মায়ামি। দলটির খেলোয়াড়দের মোট গ্যারান্টিড বেতন দাঁড়িয়েছে ৪৬.৮৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত মৌসুমের চেয়ে ৫ মিলিয়ন বেশি এবং এমএলএস ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টরন্টো এফসি (৩৪.১৫ মিলিয়ন ডলার) এবং তৃতীয় স্থানে আটলান্টা ইউনাইটেড (২৭.৬৩ মিলিয়ন ডলার)।
মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাস এবং আর্থিক দিক থেকেও এমএলএসে এক অনন্য নাম হয়ে উঠেছেন লিওনেল মেসি। তার উপস্থিতি শুধু ইন্টার মায়ামির নয়, পুরো লিগের জন্যই এক আকর্ষণীয় বিষয়। দেখা যাক, মাঠ ও মাঠের বাইরের এই প্রভাব আগামীতে কতদূর বিস্তৃত হয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬জুন২৫/এআর/এজে
