
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে বোলিংয়ে নেমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ দল। শেখ মেহেদি-মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে লঙ্কানদের অল্প রানেই আটকে দিয়েছে টাইগাররা।
বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। ১৩৩ রান তুলতে পারলেই লঙ্কানদের মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে টাইগাররা।
এদিন প্রেমাদাসায় ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরুর আভাস দেয় লঙ্কানরা। ইনিংসের প্রথম ৫ বলেই ১৪ রান তুলে নেয় তারা। তবে প্রথম ওভারের শেষ বলেই আঘাত হানেন শরিফুল। বিপজ্জনক কুশলকে সেট হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরান এই পেসার। ৪ বলে ৬ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
আরও পড়ুন:
» রংপুর বনাম দুবাই : টস জিতে সাকিবদের বোলিংয়ে পাঠালেন সোহান
» র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে রিশাদ, এগোলেন লিটনও
এরপরেই শুরু হয় মেহেদির স্পিন ভেলকি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন এই অফস্পিনার। তার প্রথম শিকার কুশল পেরেরা। স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন এই তারকা ব্যাটার।
মেহেদির দ্বিতীয় শিকার দীনেশ চান্দিমাল। দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। ২০২২ সালের পর শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে মাত্র ৪ রান করে ফেরেন চান্দিমাল। তার তৃতীয় শিকার লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আশালাঙ্কা। দুর্দান্ত এক ভেলকিতে লঙ্কান অধিনায়ককে বোল্ড করেন মেহেদি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ রান।
মেহেদির চতুর্থ শিকার সেট ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে ক্যাচ আউটের শিকার করেন এই স্পিনার। ৩৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। পরবর্তীতে কামিন্দু মেন্ডিসকে (২১) ফেরান শামীম হোসেন এবং জেফ্রে ভেন্ডারসের (৭) উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর। এতে ১০৩ রানেই ৭ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
তবে শেষদিকে বেশকিছু রান যোগ করেন দাসুন শানাকা। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ ওভারে ২২ রান নেন তিনি। শানাকার ২৫ বলে ৩৫ রানের ক্যামিওতে ভর করে ১৩২ রানের পুঁজি গড়তে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে শেখ মেহেদি ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও শামীম হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬জুলাই২৫/বিটি
