আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল ২০২৬ আসরে নিলামে ছিলেন না তারকা ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। মূলত আগের আসরে ফিক্সিং সন্দেহের কারণে তাদের এবারের টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এবার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল।
তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ ওঠা ক্রিকেটাররা আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ নন কিন্তু তাদের বিপিএলের বাইরে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিয়ম অমান্য করলে কিছু প্রমাণ দেখা যায়। যেমন খেলোয়াড়রা সংকেত দেয়, যা বেটিংকারীরা ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ওভারের দ্বিতীয় বলে ইচ্ছাকৃত ওয়াইড করা কিংবা হঠাৎ ব্যাটের হ্যান্ডেল হলুদ থেকে গোলাপি করে ফেলা- এগুলো সম্ভাব্য সিগনাল। বিশ্বজুড়ে যেসব সিগনাল ব্যবহৃত হয়, আমি প্রায় সবই জানি। এ কারণেই ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে কয়েকজনকে এবারের বিপিএলে না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযুক্তরা সবাই ক্রিকেটার নন। কিছু দেশে ক্রিকেটে দুর্নীতির জন্য জেল হয়, আবার কোথাও এটা অপরাধই নয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাদের ক্রিমিনাল বলা ঠিক হবে না।
এখনই কাউকে অপরাধী বলতে নারাজ তিনি।
তাদের সবকিছু থেকে নিষিদ্ধ করা হয়নি কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ৯০০ পাতার রিপোর্টটি আমরা মাত্র পেয়েছি। নিষিদ্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। সবাইকে কথা বলতে হবে, প্রমাণ যাচাই করতে হবে। দোষী পাওয়া গেলে তখন নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া কয়েক মাস লাগে।
তিনি বলেন, যে তথ্য আমার কাছে আছে, তা দিয়ে আগে তদন্ত শেষ করতে হবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে বলেছি- ওদের এবার বিপিএলে না রাখতে। এর বেশি কিছু বলবো না; তাদের অধিকার হরণ করতে চাই না।
ক্রিফোস্পোর্টস/১২ডিসেম্বর২৫/এসএ