
চোটের কারণে প্রধান কয়েকজন খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া, দানি ওলমোদের মতো অভিজ্ঞদের কেউই ছিলেন না একাদশে। গাভিও দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে। তবু মাঠে নেমে অলিম্পিয়াকোসকে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
এই জয়ের নায়ক ২২ বছর বয়সী ফেরমিন লোপেজ। ইনজুরি থেকে ফিরেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বার্সেলোনার ইতিহাসে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক করা প্রথম স্প্যানিশ ফুটবলার এখন লোপেজ। এর আগে ৬০০-এর বেশি স্প্যানিশ খেলোয়াড় বার্সার জার্সি গায়ে ইউরোপের মাঠে নেমেছেন, কিন্তু কেউই পারেননি তিন গোলের কীর্তি গড়তে।
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বার্সেলোনার অস্থায়ী ভেন্যু এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে, কারণ ক্যাম্প ন্যু এখনো সংস্কারের কারণে ব্যবহার উপযোগী নয়। শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিল হান্সি ফ্লিকের দল। প্রথমার্ধে লোপেজের দুই গোলেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে অলিম্পিয়াকোসের আইয়ুব এল কাবি। তখন মনে হচ্ছিল, হয়তো ম্যাচে ফিরবে গ্রিক ক্লাবটি। কিন্তু ৫৭ মিনিটে সান্তিয়াগো হেজ্জে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনে নেমে আসে অলিম্পিয়াকোস। সেখান থেকেই পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা।
৬৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামাল পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান ৩-১-এ। এরপর ৭৩ ও ৭৮ মিনিটে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে নাম লেখান মার্কাস রাশফোর্ড। এই দুই গোলের মাঝেই লোপেজ তার হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন।
চোট কাটিয়ে ফেরার পর এমন পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ছিলেন লোপেজ নিজেও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই ক্লাবের জার্সি গায়ে এমন একটা রাতে ইতিহাস গড়া অবিশ্বাস্য অনুভূতি।’
আগের ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে হারের পর এই জয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল বার্সেলোনা। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোর আগে রিয়াল মাদ্রিদকে যেন পরিষ্কার বার্তাই দিয়ে রাখল ফ্লিকের দল -চোট থাকলেও আত্মবিশ্বাস হারায়নি বার্সা।
লোপেজের হ্যাটট্রিক, রাশফোর্ডের জোড়া গোল আর ইয়ামালের গোল মিলে ছয়বার বল পাঠায় প্রতিপক্ষের জালে। অন্যদিকে অলিম্পিয়াকোস একমাত্র গোলটিই করতে পেরেছে পেনাল্টি থেকে।
এই জয়ে গ্রুপ পর্বে নিজেদের অবস্থানও মজবুত করেছে বার্সেলোনা। চোটে ভরা এই দলে নতুনদের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা আবারও বার্সেলোনার সক্ষমতা প্রমাণ হলো।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২অক্টোবর২৫/টিএ
