২০২৫ সালে দারুণ একটি বছর কাটিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জিকায় দুইশো’র অধিক ছক্কা হাঁকিয়েছে ব্যাটসম্যানরা। জাতীয় দলের অধিনায়ক লিটন দাস ছক্কা মারার রেকর্ড গড়া নিয়ে কৃতিত্ব দিয়েছেন পুরো দলের, বিশেষ করে কোচিং স্টাফদের। তার মতে, ব্যাটসম্যানরা যখন ভয়হীন হয়ে খেলেন, তখনই এমন রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।
লিটন বলেন, “ছক্কা মারাটা অনেকটাই নির্ভর করে খেলোয়াড়ের মানসিকতার উপর। আমি এমন একটা দল পেয়েছি যেখানে একসঙ্গে অনেক ব্যাটার ছক্কা মারতে পারে। যারা পারবে, আমি সবসময় তাদের উৎসাহ দেব। অধিনায়ক হিসেবে আমি কখনো তাদের থামিয়ে দেব না।”
ছক্কা মারার এই মানসিকতা গঠনে কোচিং স্টাফদের অবদানের কথাও অকপটে স্বীকার করেন লিটন। “এই কৃতিত্ব অবশ্যই কোচিং স্টাফদের। ওরা দিনের পর দিন আমাদের নিয়ে কাজ করেছে। ব্যাটসম্যানদের নিয়ে নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছে। খারাপ সময়ে পাশে থেকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি যত বেশি বল অনুশীলনে খেলবেন, উন্নতির সুযোগ তত বেশি। মাঠে সাহসী সিদ্ধান্ত তখনই আসে যখন প্রস্তুতি থাকে পোক্ত।”
সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিম। ওপেনার হিসেবে ৪১টি ছক্কা মেরে এক বর্ষপঞ্জিকায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছক্কার নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তাঁর পরেই আছে ইমন, যার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪টি ছক্কা। সাইফ মেরেছেন ২৯টি এবং লিটন ২৩টি ছক্কা মেরেছেন। মিডল অর্ডারে জাকের আলীর ব্যাট থেকেও এসেছে ১৯টি ছক্কা। দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন আরও একজন ব্যাটার -তাওহিদ হৃদয় (১৪)।
সব মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশের ১৮ জন ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকিয়েছেন। দলের মোট রান ৪২২৯ (অতিরিক্ত বাদে), তার ২৯ শতাংশ এসেছে ছক্কা থেকে। শুধু ছক্কাই নয়, চারেও এসেছে উন্নতি এই বছরই এক বর্ষপঞ্জিকায় সর্বোচ্চ ২৯৮টি চারের রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ছক্কা মারার প্রবণতা ও সফলতা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন লিটনের এই বক্তব্য শুধু আত্মবিশ্বাসই নয়, দলের পেছনের কাজেরও প্রতিফলন তুলে ধরছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫ডিসেম্বর২৫/টিএ