দলকে সহজ জয় এনে দেওয়ার ইচ্ছে সব দলের অধিনায়কেরই। তবে লিটন কুমার দাস চান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে দলকে জয় এনে দিতে। নিতে চান প্রতিটি বলে চ্যালেঞ্জ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছয় ম্যাচ চ্যালেঞ্জের সাথে মোকাবেলা করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে খেলতে হবে তিন ম্যাচের দুটি সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজগুলোতে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে উদগ্রীব হয়ে আছেন লিটন কুমার দাস। আগামীকাল থেকে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলতে নামার আগে সামনে ছয় ম্যাচ কঠিন লড়াই করে দল জেতাতে চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি দুইটা সিরিজে চাই, যেন আমাদের খেলোয়াড়েরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি মনে করি, এই ছয়টা ম্যাচে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। ব্যাকফুটে থাকব, এর অর্থ— চ্যালেঞ্জের কথা বলছি। এই না যে, আমরা ম্যাচে পিছিয়ে থাকব। আমি চাই, বোলাররা যখন বল করবে তখন যেন চাপ থাকে। যে জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ মানে সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, সেখানে আমাকে সাহায্য করবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচ জয় করেছিল বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার রানের পরাজয় হতাশ করেছিল সবাইকে। আগের আসরের থেকে এই আসরে সর্বাধিক সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাস আরও বলেন, পার্থক্য তেমনটা কিছু না। এখন আমরা চেষ্টা করছি ভালো উইকেটে খেলার জন্য। আপনি যখনই ভালো উইকেটে খেলবেন। ব্যাটারদের সফল হওয়ার সুযোগটা বেশি থাকবে। দলে যতগুলো ক্রিকেটার আছে ছয় থেকে সাত পর্যন্ত যত ব্যাটার আছে তাদের মধ্যে আমার ছয়ের সংখ্যা কম। দলের এখন বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বড় বড় ছয় মারতে পারেন। এটা বাংলাদেশ দলের জন্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রিকেট শুধু ছয়ের ওপর দিয়ে গেলে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় ছক্কা মারবে। অন্যথায় প্রয়োজন পড়লে এক বা দুই রানের দিকেও যেতে হবে।
পারফরম্যান্সে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে শুধু টেকনিক বদলানো প্রয়োজন না, খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলানোও প্রয়োজন। এ বিষয়ে অধিনায়ক বলেন, সংস্করণ ভেদে না হলেও ক্রিকেটারের মানসিকতা বা আগ্রাসনটা একটু পরিবর্তন হয়ে যায়। উইকেট ভেদেও হয়, সংস্করণ ভেদেও হয়। তাই আমার মনে হয়, যেহেতু এই সংস্করণটা খেলোয়াড়রা জানে, অনেকদিন ধরে খেলছে এবং বেশিরভাগ খেলোয়াড় সফল হয়েছে। তো তারা জানে যে কোন ঘরানার ক্রিকেট খেললে এখানে সফল হওয়া যাবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬অক্টোবর২৫/এনজি