
বয়স পেরিয়েছে ৩৮, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন অনেক আগেই। আইপিএলে তার পরিচয় ব্যাটিং কোচ। তবে যুদ্ধ ছাড়লেও ট্রেনিং ভুলে যাননি এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে কাইরন পোলার্ডের আগুন একেবারেই নিভে যায়নি। চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ধারাবাহিকভাবে ঝড় তুলছেন তিনি। রোববার বাংলাদেশ সময় সকালে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে খেললেন এবারের আসরের অন্যতম সেরা ইনিংস।
ত্রিনবাগোর ইনিংস যখন ধুঁকতে থাকে তখনই নামেন পোলার্ড। ড্যারেন ব্রাভো ৩৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে দলের সংগ্রহ ছিল ৯৫ রান (১৬তম ওভার)। কেসি কার্টিক ২৯ বলে ৩৪ রান করে ‘রিটায়ার্ড আউট’ হয়ে ফেরার পর চাপ আরও বেড়ে যায়, তখনই মাঠে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ পোলার্ড।
মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা। ১৭ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক- যা তার সিপিএল ক্যারিয়ারের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে ২০২৩ সালে সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে করেছিলেন ১৯ বলে ফিফটি।
এবারের ইনিংসের মধ্য দিয়ে পোলার্ড ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই। এর চেয়ে কম বলে ফিফটি আছে তার অন্য আসরে- ২০১২ সালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর হয়ে করেছিলেন ১৪ বলে, আর ২০২১ আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে করেছিলেন ১৭ বলে। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও করেছিলেন ১৮ বলে ফিফটি।
ত্রিনবাগো ২০ ওভারে থামে ১৬৭ রানে। কিন্তু এ রানও যথেষ্ট হয়নি। গায়ানার হয়ে ওপেনার শেই হোপ ৪৬ বলে করেন ৫৩ রান। শিমরন হেটমায়ার খেলেন ৩০ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ দিকে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ১৪ বলে অপরাজিত ২৬ রানে ম্যাচ শেষ করে দেন।
শেষ ওভারে গায়ানার দরকার ছিল ৯ রান, বোলিংয়ে আসেন পোলার্ড নিজেই। প্রথম দুই বলে রান মাত্র ১। কিন্তু তৃতীয় বলেই প্রিটোরিয়াস ছক্কা হাঁকান। শেষ দুই বলে দুটি সিঙ্গল নিয়ে গায়ানা জেতে ১ বল হাতে রেখে, তিন উইকেটে।
এদিকে সিপিএলের গত তিন আসরে যেখানে ৩০ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি ছিল, এবার ৮ ইনিংসেই পোলার্ড তুলে নিয়েছেন তিনটি ফিফটি। এখন পর্যন্ত তার সংগ্রহ ২৯১ রান, গড় ৭২.৭৫, স্ট্রাইক রেট ১৮৫.৩৫। রানের তালিকায় আছেন চার নম্বরে।
পোলার্ডের ঝড়ো ইনিংস ম্যাচ জেতাতে না পারলেও আবারও প্রমাণ করলেন তিনি পোলার্ড!
ক্রিফোস্পোর্টস/৭সেপ্টেম্বর২৫/এনজি
