
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ২০২৫ এশিয়া কাপ। এবারের আসরটি ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, তারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে অনাগ্রহ দেখালে শেষ পর্যন্ত ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেছে নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের আসরে ২ দল বেড়ে মোট ৮ দল অংশ নেবে। দলগুলো দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। যেখানে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। এই গ্রুপে টাইগাররা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকংকে। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান।
এবারের আসরে তুলনামূলক কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে ফেবারিট হিসেবেই খেলবে টাইগাররা। তবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। তাছাড়া গ্রুপ পর্ব উতরে সুপার ফোরে গেলেও ভারত-পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে পারে টাইগাররা। আর সেখানে সেরা দুইয়ের মধ্যে থাকতে পারলেই ফাইনালে উঠতে পারবে টাইগাররা।
আরও পড়ুন:
» শেষের ঝলকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের
» তাসকিনের বিরুদ্ধে করা জিডি প্রত্যাহার
বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ মনে করেন, এবারের টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ভালো করতে পারলে টাইগারদের ফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ আছে বলে বিশ্বাস করেন এই ডানহাতি। আজ (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা এবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার মতো দল। আমরা যে গ্রুপে (বি) আছি, এখান থেকে দুইটা-তিনটা ম্যাচ জিততে পারলে এবার ফাইনালে উঠতে পারবো।’
গত জুনে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল খালেদের। কিন্তু সবশেষ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না তিনি। যদিও বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন এই পেসার। সম্প্রতি গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের হয়ে ৪ ইনিংসে শিকার করেন ১১ উইকেট, যা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলে পেসারদের প্রতিযোগিতা বেশি থাকা নিয়মিত সুযোগ মিলছে না এই পেসারের।
তবে এমন প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন খালেদ। জাতীয় দলে জায়গা পেতে নিয়মিত চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন এই পেসার, ‘প্রতিযোগিতা থাকাটা যে কোনো দেশের জন্যই ইতিবাচক। আপনি যখন প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবেন তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়বে। অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমি আমার ফিটনেস আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামের মতো পেসাররা আছেন। আসন্ন এশিয়া কাপের আগে বিবেচনায় আছেন খালেদও। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত তিনি টাইগার পেস বিভাগে জায়গা করে নিতে পারেন কিনা!
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ এশিয়া কাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩১জুলাই২৫/বিটি
