
দু’দিন আগেই এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। এই হারের রেশ না কাটতেই নতুন করে দুঃসংবাদ পেল তারা। এবার বিদেশি লিগে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগে খেলতে না পারার বিষয়টি ক্রিকেটার এবং এজেন্টদের জানানো হয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যাদেরকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া হয়েছে, সেগুলো স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পিসিবির নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দেশের বাইরের লিগ ও অন্যান্য টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের সমস্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) স্থগিত করা হয়েছে। পিসিবির সভাপতির অনুমোদনক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।’
হুট করে ক্রিকেটারদের এনওসি স্থগিত করার কোনো কারণ স্পষ্ট করে জানায়নি পিসিবি। তবে ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে দাবি করেছে, খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেট এবং জাতীয় দলের প্রতি মনোযোগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরেই শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদ-ই-আজম ট্রফি এবং প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া লিগ।
আগামী ডিসেম্বরে থেকেই শুরু হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলো। ডিসেম্বরে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল)। আসন্ন বিবিএল আসরে পাকিস্তানের সাত ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন। যেখানে আছেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের মতো ক্রিকেটাররা।
একই মাসে শুরু হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইএল–টি ২০। আসন্ন এই টুর্নামেন্টের নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের ১৬ ক্রিকেটার। তবে পিসিবির এমন সিদ্ধান্তের কারণে নিলামে অবিক্রিত থেকে যেতে পারেন সবাই।
ডিসেম্বর শেষের দিকে কিংবা জানুয়ারির শুরুতে মাঠে গড়াতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের প্রতিটি আসরেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ থাকে চোখে পড়ার মতো। তবে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আসন্ন বিপিএলে দেখা যাবে না পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
