 
																												
														
														
													এমন অসাধারণ জয়, হয়তো কল্পনা করতেও পারেননি কেউ। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৩৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। নকআউট পর্বে নারী বা পুরুষ কোনও ক্রিকেটেই এত বড় রান সফল ভাবে তাড়া করে জয়ের ইতিহাস ছিল না। তবে এবার সেটাই করে দেখিয়েছে ভারত। বিশ্বরেকর্ড গড়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে এসেছে স্বাগতিকরা।
এমনকি এটি ছিল নারী ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আর এমন ম্যাচে রেকর্ড সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। নারী বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে রান তাড়া করতে নেমে এটি ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
তবে এদিন সেঞ্চুরি করেও খুব একটা উদযাপন করেননি জেমিমাহ। ম্যাচ শেষে দলকে জিতিয়ে আবেগের কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সেঞ্চুরির পর উদযাপন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ফিফটি বা সেঞ্চুরির বিষয় নয়। ভারতকে জিতিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল। একটা সেটআপ ছিল। আগেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো আমরা হেরেছি।’
বিশ্বকাপে শুরু থেকে জ্বলে উঠতে না পারায় কিছুটা উদ্বিগ্ন থাকার কথা জানান জেমিমাহ। মাঝে দল থেকে বাদ পড়ায় চাপ আরো বাড়ার কথাও বলেন, ‘গত বছর আমাকে এই বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কোনো কিছুই নিজের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি। মানসিকভাবে ভাল জায়গায় ছিলাম না। একটা উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম।’
চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাদ পড়ার পর নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পুনরায় ফিরেছিলেন জেমিমাহ। সেই ম্যাচে ফিফটি হাঁকানোর পর আজ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি, ‘জানতাম আমাকে জ্বলে উঠতে হবে। ইংল্যান্ড ম্যাচে বাদ পড়াটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে। সবমিলিয়ে আমি বড় কিছু করতে চেয়েছিলাম, সৃষ্টিকর্তা পুরো বিষয় সহজ করে দিয়েছেন।’
ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত জেমিমাহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন কঠিন সময় তার পাশে থাকা সকলকে। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। স্বপ্নটা এখনও শেষ হয়নি। সত্যিই গত চার মাসের কাজটা কঠিন ছিল। এটা একা করতে পারিনি। মা, বাবা, কোচ এবং আমার ওপর যারা বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
উল্লেখ্য, বড় রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতেই ২ উইকেট হারায় ভারত। দুই ওপেনারকে হারানোর পর অধিনায়ক হারমানপ্রীতের সঙ্গে জেমিমাহর ১৬৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। হারমান ৮৯ রানে ফিরে গেলেও ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন দলকে জিতিয়েছেন জেমিমা। হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩১অক্টোবর২৫/এফএএস
 
												
																					 
   
										 
									         
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																					 
																							 
																							 
																							 
																							 
																							 
			 
									 
									 
									 
									 
									 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	 
									 
																	