
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ইতোমধ্যে প্রথম ম্যাচটি সম্পন্ন হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা জেগেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে আজ (সোমবার) তীব্র আন্দোলনে নেমেছে নেপালের ছাত্র-জনতা। এই বিক্ষোভে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অনেকেই। আর এই ঘটনার জেরেই কাঠমান্ডুতে স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন।
মূলত এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে কাঠমান্ডুর নয়া বানেশ্বরে। যা বাংলাদেশের অনুশীলনের ভেন্যু থেকে খুব বেশি দূরে নয়। দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম থেকে নয়া বানেশ্বরের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। তবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর হোটেল ছেড়ে মাঠের অনুশীলনে যেতে পারেনি জামালরা। দুটি স্থান কাছাকাছি হওয়ায় ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশের অনুশীলন বাতিল করা হয়।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তবে হুট করে উদ্ভূত এমন পরিস্থিতির কারণে ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। যদি আগামীকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকে, সেক্ষেত্রে ম্যাচটি বাতিল হওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্য আয়োজক কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে ম্যাচটি রুদ্ধদ্বারে আয়োজনের। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় সেটার জন্যই অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ ফুটবল দলকে। তার আগে আপাতত টিম হোটেলেই আছেন জামাল-তপুরা। কাল দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আর অনুশীলন করতে পারবে কি না সেটাও অনিশ্চিত।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচ জুড়ে দুই দলই সমানে-সমানে লড়াই চালিয়েও কোনো গোলের দেখায় পায়নি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ভিন্ন ফলাফল দেখার আশায় ছিল বাংলাদেশের সমর্থকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হবে কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/৮সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
