
টিকিট খোলার আধঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে সব। ফলে ৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভরপুর থাকবে তা নিশ্চিত। ২২ হাজার দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে চান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তাঁর একটাই লক্ষ্য—বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়া।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হংকংয়ের বিপক্ষেই অক্টোবরের দুটি ম্যাচ। একটি ঢাকায়, আরেকটি ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে। তাই ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফিরতে চান জামাল।
আজ শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। টিম হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে জামাল বলেন, “সবাই সুস্থ আছে, প্রস্তুত আছে। সামনে যে ম্যাচটা, সেটা সত্যিই বাঁচা-মরার। সেখানে যদি হারি, তবে আর কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা থাকবে না।”
দর্শকদের প্রত্যাশার কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। “মানুষ টাকা খরচ করে মাঠে আসে কিছু পাওয়ার আশায়। আমাদের জন্য সেটা হলো ৩ পয়েন্ট। আমরা সেটা দিতে চাই,” যোগ করেন জামাল।
অন্যদিকে, ঘরোয়া ফুটবলের শুরুর ঝাঁপে বসুন্ধরার পথে এবার হেঁটেছে মোহামেডানও। চ্যালেঞ্জ কাপে বসুন্ধরার কাছে হারের পর লিগে প্রথম ম্যাচেই হেরেছে তারা। সঠিক সমন্বয় গড়তে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ছয় ফুটবলারকে আপাতত ছাড়ছে না ক্লাবটি। তাই সেই ছয়জনকে ছাড়া হংকং ম্যাচ সামনে রেখে শুরু হলো জাতীয় দলের ক্যাম্প।
গতকাল পর্যন্ত টিম হোটেলে রিপোর্ট করেছেন ২০ ফুটবলার। আজ যোগ দিচ্ছেন ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম। ৬ অক্টোবর দলে যোগ দেবেন হামজা চৌধুরী এবং ৭ অক্টোবর শমিত শোম। মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা পাওয়া যাবে ম্যাচের ৭২ ঘণ্টা আগে।
এই অবস্থায় খানিকটা বিস্মিত কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, “এটা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। আমরা আসলে আশা করিনি মোহামেডান খেলোয়াড়েরা থাকবেন না। তবে সেপ্টেম্বরে এমন পরিস্থিতি সামলেছি। এবারও পারব আশা করি।”
তাঁর ঘোষিত ২৯ সদস্যের দলে নতুন মুখ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেফট-ব্যাক জায়ান আহমেদ, যিনি অনূর্ধ্ব–২৩ এশিয়ান কাপে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। কাবরেরা বলেন, “ও এমন একটি পজিশনে খেলে যেখানে আমরা বাড়তি শক্তি চাই। অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেই তার কাছ থেকে আরও বেশি পাওয়া যাবে।”
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০সেপ্টেম্বর২৫/টিএ
