Connect with us
স্পোর্টস বক্স

৬ ফুট উচ্চতার জায়ান হাকিম আসছেন? বাফুফের রাডারে আরও যারা

জায়ান হাকিম। ছবি- সংগৃহীত

গোলের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ ফুটবল দল। গত ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সেই গোলের ক্ষুধা ছিল আরও তীব্র। প্রতিপক্ষের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই কিংবা বলের নিয়ন্ত্রণ, কর্নারসহ সবদিক থেকে এগিয়ে থাকলেও কেবল গোল করতে না পারার জন্যই হেরেছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের এমন গোলখরা কাটাতে বাংলাদেশ দলে আসছেন ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার জায়ান হাকিম?

গড়নে শক্তিশালী এই স্ট্রাইকারের খেলায় আছে স্কিল, গতি আর গোলের ক্ষুধা। বর্তমানে ইংল্যান্ডের অষ্টম টায়ারের ক্লাব অ্যান্সটে নোম্যাডসের হয়ে খেলছেন তিনি। গত মৌসুমে নোম্যাডসের জার্সিতে ৫৫ ম্যাচে করেছেন ১৮ গোল। লেস্টারে জন্ম নেওয়া এই লেফট ফুটেড স্ট্রাইকারের শুরুটা ছিল বেশ উজ্জ্বল।

২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের তৃতীয় টায়ারের ক্লাব ম্যান্সফিল্ড টাউনের মাধ্যমে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর লোনে খেলেছেন ম্যাটলক টাউন, গ্রান্থাম টাউন, বাসফোর্ড ও বারওয়েল ফুটবল ক্লাবের জার্সিতেও।


আরও পড়ুন

» আগ্রহী ইউরোপের অনেক দল, হামজা যাচ্ছেন কোথায়?

» সান্তোসে নতুন চুক্তি নেইমারের, প্রতি মাসে পাবেন ১০ কোটি টাকা!

» পাকিস্তান আসছে বাংলাদেশে, চূড়ান্ত হলো সফরসূচি


জায়ানের মূল বৈশিষ্ট্য হলো তার শারীরিক উপস্থিতি ও লম্বা গড়ন। ফলে ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে বল জালে জড়াতে পারেন তিনি, একই সঙ্গে উচ্চতার সুবিধা নিয়ে সেটপিসেও দুর্দান্ত এই স্ট্রাইকার। তাই মাঝমাঠ থেকে হামজা চৌধুরী কিংবা শমিত সোমের আক্রমণভাগে বাড়ানো বলগুলো বেশ সহজেই জালে জড়াতে পারবেন তিনি-এমন স্বপ্নই দেখছে লাল-সবুজের ভক্তরা।

বাংলাদেশের সঙ্গে জায়ানের সম্পর্ক কীভাবে?

জন্ম ইংল্যান্ডের লেস্টারে হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জায়ানের সম্পর্ক তার নানার হাত ধরে। তার নানার বাড়ি নোয়াখালী, তিনি বিয়ে করেছেন স্প্যানিশ এক নারীকে। আবার জায়ানের মা বিয়ে করেছেন অ্যান্টিগার এক নাগরিককে। তাই বাবার সূত্র ধরে ২০২৩ সালে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারমুডার হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। একইসঙ্গে বারমুডা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে সাত ম্যাচ খেলে গোল করেছেন চারটি।

বাংলাদেশের জার্সিতে জায়ানের খেলা নিয়ে সুখবর দিয়েছে বাফুফে। ইতোমধ্যে তাকে খেলানোর যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

এ নিয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, জায়ান হাকিমের বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আমরা আশাবাদী যে মাস খানেকের মধ্যে তার সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত করে ফেলতে পারব।

Cfifo BFFF

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে দেখা যাবে তাকে। দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল খরায় ভোগা বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান হতে পারেন জায়ান হাকিম।

শুধু জায়ান হাকিম নয়, বাফুফের রাডারে আছে নিলয় ভ্যান ডার প্লোয়েগ, রেনান সুলিভান, ডেক্লান সুলিভান, আরহাম ইসলাম ও তানিল সালিকের মতো এক ঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম নিলয় ভ্যান ডার প্লোয়েগ ও সুলিভান ব্রাদার্স।

নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় সারির ক্লাব এফসি এমেনের অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে খেলেন নিলয় ভ্যান ডার প্লোয়েগ। দলটির হয়ে গত মৌসুমে ফার্স্ট চয়েস সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। তিনি তার মায়ের দিক থেকে বাংলাদেশি পরিচয় বহন করছেন। ২০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়াতে কাজ শুরু করেছে বাফুফে। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে আগ্রহী তিনি নিজেও।

এ নিয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নিলয় আগ্রহী এবং এক্সাইটেড। বাফুফের টেকনিক্যাল টিম তার ভিডিও দেখেছে। নিলয়ের এজেন্ট বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছে, ম্যাচ কবে, ক্যাম্প কবে শুরু হবে। মায়ের দিক থেকে নিলয় বাংলাদেশি রক্ত বহন করে। এখন তার পাসপোর্টের কাজ শুরু করতে হবে।’

সুলিভান ব্রাদার্স—যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে খেলা রেনান সুলিভান ও ডেক্লান সুলিভানকেও দেখা যেতে পারে লাল-সবুজের জার্সিতে। নানীর দিক থেকে বাংলাদেশি এই দুই তরুণ ফুটবলারকে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলে খেলানোর জন্য কাজ করছে বাফুফে। তাদের দুই বড় ভাই কুইন ও কাভান সুলিভান খেলছেন ফিলাডেলফিয়ার মূল দলে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে কুইন সুলিভানের। রেনান সুলিভান মূলত একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড। অন্যদিকে ডেক্লান সুলিভান খেলেন রক্ষণে। দুজনকেই বাংলাদেশের জার্সিতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ লেফট উইং পজিশনের জন্য যাকে অন্যতম একজন হিসেবে ভাবা হচ্ছে তিনি আরহাম ইসলাম। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট টায়ার ক্লাব ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড এফসির অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ক্যাপ্টেন আরহাম।

এছাড়া ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড অনূর্ধ্ব-২৩ দলেরও একজন নিয়মিত সদস্য তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন অনূর্ধ্ব-২৩ এএফসি এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন আরহাম।

আরহামের মতো অনূর্ধ্ব-২৩ দলে দেখা যেতে পারে আরেক প্রতিভাবান নাম তানিল সালিককে। বর্তমানে ইংল্যান্ডের থার্ড টায়ারের ক্লাব স্টিভেনেজ এফসির অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে খেলা এই তারকাকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাফুফে। তানিল সালিক মূলত ফরোয়ার্ড জোনে খেলা একজন ভার্সেটাইল ফুটবলার। ক্ষেত্রবিশেষে তার প্লেয়িং স্টাইল অনেকটাই জার্মান তারকা ফ্লোরিয়ান ভির্টজের মতো। সবকিছু ঠিক থাকলে লাল-সবুজ জার্সিতে দেখা যেতে পারে তাকেও।

ক্রিফোস্পোর্টস/২৫জুন২৫/টিএইচ/এসএ

Crifosports announcement
Click to comment

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Focus

More in স্পোর্টস বক্স