
এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ফাইনাল দ্বিতীয় ইনিংসে এসে আরো জমে উঠেছে। পাকিস্তানের দেয়া ১৪৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে ভারত। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৮৪ বলে ১১১ রান। ক্রিজে আছে তিলাক ভর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। তিলাক ১২ বলে ১৪ এবং স্যামসন ৩ বলে ৪ রান করে অপরাজিত।
দুবাইয়ে রানতাড়ায় নেমে আজ ব্যাট হাতে রাঙাতে পারেননি চলতি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অভিষেক শর্মা। দলীয় ৭ রানেই ফিরেছেন এই মারকুটে ওপেনার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই অভিষেকের উইকেট তুলে নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। হারিস রউফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ৫ রান করেছেন এই ওপেনার।
এরপর তৃতীয় ওভারে এসে আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এবার আউট অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। আফ্রিদির স্লোয়ার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক। তাতে ক্যাচ উঠে যায় এবং মিড অফ থেকে এগিয়ে এসে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা।
এরপর ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন শুবমান গিল। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এই ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফাহিম আশরাফকে চার মেরে পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন এই তারকা। তার ক্যাচটিও লুফে নেন হারিস।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল পাকিস্তান। ১৩ ওভারে ২ উইকেট ১১৩ রান তুলে নিয়েছিল দলটি। তবে এরপরেই শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়। ভারতের স্পিন জাদুতে বিধ্বস্ত হয়ে পাকিস্তানের পরবর্তী ব্যাটিং লাইনআপ। তাতে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে আরেক ওপেনার ফখর জামানের ব্যাট থেকে। ৩৫ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই ওপেনার। এছাড়া ১৪ রান এসেছিল সাইম আইয়ুবের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি।
ভারতের পক্ষে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
